ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নিকলীতে ১৫ দিনে ১৩ হাজার হাঁসের মৃত্যু

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিকলীতে ১৫ দিনে ১৩ হাজার হাঁসের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের নিকলীতে হাঁসের খামারে গত ১৫ দিনে প্রায় ১৩ হাজারেরও বেশি হাঁস মারা গেছে। হঠাৎ করে হাঁসের এমন মৃত্যুতে খামারের মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

কোনোভাবেই হাঁসের মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না খামারিরা।  তারা জানিয়েছেন, ‘ডাক প্লেগ’ রোগ হাঁসের মৃত্যুর কারণ।

খামারের মালিকরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে উপজেলার বেশ কয়েকটি হাঁসের খামারে এই ‘ডাক প্লেগ’ রোগ দেখা দেয়। ১০ নভেম্বর থেকে আজ রোববার পর্যন্ত আটটি খামারে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার হাঁস মারা গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত খামারি জিল্লু মিয়া, রশিদ মিয়া, ইদ্রিস আলী, মনিরউদ্দিন, ইকবাল হোসেন, নুরু মিয়া, মাসুদ মিয়া ও রবর উদ্দিন জানান- প্রতিষেধক দেওয়ার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রাণিসম্পদ অফিসেও এ রোগের প্রতিষেধক পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি সেখানকার প্রাণি চিকিৎসকদের টাকা ছাড়া কোনো খামারেও নেওয়া যাচ্ছে না। একমাত্র টাকার বিনিময়েই তারা চিকিৎসা করবেন জানিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. বাহাদুর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে ডাক প্লেগ হওয়ার আগেই এ রোগ প্রতিরোধে টিকা দিতে হবে। হাঁসের বয়স যখন ২১ দিন তখন একবার। আর ৩৫ দিনের সময় আরেকবার এ টিকা দিতে হয়।’

নিকলীতে বহু লোক হাঁসের খামারের সঙ্গে জড়িত। অন্য খামারের মালিকরাও এখন ‘ডাক প্লেগ’ রোগ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরামর্শ, হাঁসকে পরিমাণমতো সঠিক খাবারদাবার দিতে হবে। কারণ এসব হাঁস খাবার না পেলে পরিমাণ মতো ডিম দেবে না। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে।

খাবার দাবার কম দেওয়া হয়েছিল কি না এ প্রশ্নের জবাবে খামারিরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসের খামারের সঙ্গে যুক্ত। কাজেই কতটুকু খাবার দিতে হয়, তা জানা আছে তাদের। তারা তাদের খামারে হাঁসগুলোকে ঠিকমতোই খাবারদাবার দিয়েছে। দু-একটা হাঁস আক্রান্ত হওয়ার পরই প্রতিষেধক প্রয়োগ করেছে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

উপজেলা  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর হাঁস ভালো হবে না। এ জন্য আগেই আসতে হবে তাদের কাছে।

তিনি জানান, এ রোগের প্রতিষেধকেরও ঘাটতি নেই। সরকারি-বেসরকারি সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। তাদের কাছে যে পরিমাণ প্রতিষেধক আছে, তা দিয়েই এ রোগ  নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।



রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/২৬ নভেম্বর ২০১৭/রুমন চক্রবর্তী/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়