নিখোঁজের ১০ দিন পর ব্যবসায়ীর পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ঝুটের গুদামের ভেতর পুঁতে রাখা ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের (৫২) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে কাশীপুর ভোলাইল এলাকার গুদাম থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেলিম নিখোঁজের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার ফয়সালের দেওয়া তথ্যমতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিম ফতুল্লার বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার মৃত শামসুল হুদার ছেলে।
নিহত সেলিমের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা সাংবাদিকদের জানান, সেলিম মূলত গার্মেন্টসের থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসা করতেন। তাদের বাড়ি বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকায় হলেও ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেন। গত ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজে সেলিম বের হয়ে যান। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে রেখা মোবাইল ফোনে স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম জানিয়েছিলেন তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
রেহেনা আক্তার রেখা জানান, সেলিম ভোলাইলের মোহাম্মদ আলী নামে এক ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে দুই লাখ টাকা পেতেন। ওই টাকা নিয়ে টালবাহনা করছিলেন মোহাম্মদ আলী। ৩১ মার্চ পাওনা টাকা চাইতে মোহাম্মদ আলীর ভোলাইলের ঝুটের গুদামে যান। এরপর থেকে সেলিম নিখোঁজ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, সেলিম পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এই ঘটনায় তার স্ত্রী গত ৩ এপ্রিল থানায় জিডি করেন। পরবর্তী সময়ে ৭ এপ্রিল অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় তার ব্যবসায়ী অংশীদার মোহাম্মদ আলীর কর্মচারি ফয়সালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ঝুটের গুদামের ভেতরে তার দেখানো জায়গা থেকে সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
সেলিম চৌধুরীকে ওই পাওনা টাকার জের ধরে মোহাম্মদ আলী ও ফয়সাল হত্যা করেন বলে ফয়সাল স্বীকার করেছেন। হত্যার পর তারা মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখেন।
রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/১০ এপ্রিল ২০১৯/হাসান উল রাকিব/বকুল/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন