ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৮২১৯৭৪, অনুপ্রবেশ অব্যাহত

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১২, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ৮২১৯৭৪, অনুপ্রবেশ অব্যাহত

সচিবালয় প্রতিবেদক : সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাতটি ক্যাম্পের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের কাজ এগিয়ে চলছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ৮ লাখ ২১ হাজার ৯৭৪ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।

এদিকে, এখনো বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে।

সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, শনিবার পর্যন্ত নিবন্ধন হয়েছিল ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৬ জন রোহিঙ্গার। সে হিসেবে পরের তিন দিনে ৩৫ হাজার ৪৮ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর এ নিবন্ধনের কাজ করছে। এছাড়া সমাজসেবা অধিদপ্তর এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম রোহিঙ্গা শিশুকে শনাক্ত করেছে।

তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৭১০ জন পুরুষ ও ৬৫০ জন নারী মিলে ১ হাজার ৩৬০ জন, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে ১ হাজার ৬০ জন পুরুষ ও ১ হাজার ৩৩৩ জন নারী মিলে ২ হাজার ৩৯৩ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ৬৫৪ জন পুরুষ ও ৮৬৩ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫১৭ জন, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ৯০৯ জন পুরুষ ও ৯৫২ জন নারী মিলে ১ হাজার ৮৬১ জন,  থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ৩২৪ জন পুরুষ ও ২৯৬ জন নারী মিলে ৬২০ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ১ হাজার ১৯ জন পুরুষ ও ১ হাজার ২৭৫ জন নারী মিলে ২ হাজার ২৯৪ জন, ঊনচিপ্রাং ক্যাম্পে ৭৬৩ জন পুরুষ ও ৭৯৫ জন নারী মিলে ১ হাজার ৫৫৮ জন এবং পুরোদিনে সাতটি কেন্দ্রে মোট ১১ হাজার ৬০৩ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭৭১ জন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক, ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৭ হাজার ১৪০ জন। ২৫ আগস্টের আগে আসা মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।

অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে বলে সরকারি তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সরকারি অপর এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত আছে।

উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ১৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২৯ ট্রাকের মাধ্যমে ১১৬ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১১ হাজার ৬৮৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ১৩০ প্যাকেট রান্না করা খাবার, ৫০ পিস কাপড়, ৫৭ হাজার ৭০৬ পিস গৃহস্থালি সামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ পর্যন্ত কক্সবাজার চারটি খাদ্য গুদামে প্রাপ্তি ও প্রদানের পর ২ হাজার ৯৬২ মেট্রিক টন চাল, ৮০ মেট্রিক টন ডাল, ৮৭ হাজার ৯৬৯ লিটার তেল, ৬১ মেট্রিক টন লবণ, ৭০ মেট্রিক টন চিনি, ২ হাজার ২০৮ কিলোগ্রাম আটা, ৭২ হাজার ৬৭০ কিলোগ্রাম গুঁড়ো দুধ, ১৬ হাজার ১০০ পিস ও ৪৮৯ বান্ডিল কম্বল, ৫১১টি তাঁবু ও ত্রিপল মজুত আছে। 

জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহায়তা’ নামক সোনালী ব্যাংক, কক্সবাজার শাখার চলতি হিসাব নং ৩৩০২৪৬২৫ এ আজ পর্যন্ত ৪ কোটি ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ টাকা জমা আছে।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ডিসেম্বর ২০১৭/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়