ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নিরাপদ খাদ্যের জন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন : খাদ্যমন্ত্রী

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিরাপদ খাদ্যের জন্য জনসচেতনতা প্রয়োজন : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : জনসচেতনতা সৃষ্টি না হলে খাদ্য ভেজালমুক্ত, দুষণমুক্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। আমরা আইন করছি, তবে তা বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দেশইনফো ডটকমবিডি এবং ওয়াচডগ আয়োজিত ‘খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান: প্রাতিষ্ঠানিক সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ ঘর থেকেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সচেতন হতে হবে। গৃহপরিচালিকা যদি সচেতন না হন, তাহলে আমরা নিজ নিজ ঘরে নিরাপদ খাদ্য পাবো না। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। সেগুলো দেখলে আপনারা সচেতন হতে পারবেন। 

নিরাপদ খাদ্য আইনটি যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের আইনের আদলে তৈরি করা হয়েছে এমন দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সেসব দেশেও এসব আইন বাস্তবায়ন করতে ৬-৭ বছর সময় লেগেছে। আমরা সবেমাত্র যাত্রা শুরু করেছি, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমরা আশা করি সেসব দেশে যে পরিমাণ সময় লেগেছে, তার আগেই আমরা এই আইন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। আজকে এই আইন বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জনসচেতনতা। সচেতনতা তৈরি করতে না পারলে খাদ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা বলতে পারি আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। এখন উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নাই। মানুষ ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে কিংবা অনাহারে মারা যাচ্ছে এমন খবর কিন্তু আজকে পত্রিকায় নেই।

আমরা সব সময় বিদেশ নির্ভর ছিলাম এমন দাবি করে কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রথম যে কাজটি করতে হয়েছে তা হলো খাদ্যের নিশ্চয়তা  নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, আমরা সব সময় বিদেশের ওপর নির্ভর ছিলাম। আমাদের এক সময় অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, ‘খাদ্য ঘাটতি যদি না থাকে, সংকট যদি না থাকে তাহলে বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না।’ এরকম একটা মানসিকতা ছিল আমাদের। সেই মানসিকতার মধ্যে দিয়েই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসেন তখন ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। ২০০১ সালে আমরা ১৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে এসেছিলাম। ২০০৬ সালে আবার আমরা যখন যাত্রা শুরু করি তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। এই হচ্ছে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার অবস্থা। মানুষের আজকে উপার্জন বেড়েছে, চাহিদা বেড়েছে, রুচি বেড়েছে। এটা আজকে স্বীকার করতে হবে মানুষকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে প্রধানমন্ত্রী সক্ষম হয়েছেন।

৭৫ এর পর যারা দেশ শাসন করেছেন তারা খাদ্য নিরাপত্তা সক্ষম করতে ব্যর্থ অভিযোগ করে মন্ত্রী বলেন, ৪৮ বছরে বাংলাদেশে এই প্রথম আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন করেছেন, ২০১৫ সালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করেছেন। দীর্ঘদিন পর আমরা নিরাপদ খাদ্যের যে সাংবিধানিক অধিকার তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। জাতির জনককে হত্যা করার পর থেকে যারা দেশ শাসন করেছেন এটা তাদের ব্যর্থতা এই কথাটা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। আমাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির যে সাংবিধানিক অধিকার এটা নিশ্চিত করার জন্য কোনও সরকার কোনও কাজ করে নাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এই কাজটিতে হাত দিয়েছেন। ৪৫ বছর পর আমরা এই কাজটিতে হাত দিয়েছি, আমরা কাজটি করছি ৩ বছর ধরে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক, বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজুল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (তদন্ত) মাসুম আরেফিন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের খান প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়