ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের বিষয় গুরুত্ব দেওয়ার দাবি

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশের বিষয় গুরুত্ব দেওয়ার দাবি

ছবি : শাহীন ভূইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রত্যাশা এবং নির্বাচনি অঙ্গীকার শীর্ষক এক সেমিনারে এই আহ্বান জানায় সংগঠনটি। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. লেনিন চৌধুরী।

পবা সভাপতি আবু নাসের খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা অঙ্গীকার করছে। এর মধ্যে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কী ভাবছে, আগামী এক বছর তারা কী কী কাজ করবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়া দরকার। পরিবেশ সংগঠনগুলো বিষয়টি মনিটরিং করবে।

সেমিনারে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো-প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে যত্নশীল হতে হবে। মানুষের স্বাস্থ্য, প্রাণী স্বাস্থ্য এবং উদ্ভিদের স্বাস্থ্য মূলত একই সূত্রে গাথা। একে বলা হয় এক স্বাস্থ্য। জনস্বাস্থ্য রক্ষার মূলনীতি হতে হবে এক স্বাস্থ্যনীতি, বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিবেশ সংক্রান্ত আইনসমূহ প্রয়োগ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত জনবল এবং আইনি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বছরে একবার প্রতিটি আইনের পর্যালোচনা ব্যবস্থা থাকতে হবে। এতে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করবে। প্রতিটি জেলায় পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে গতিশীল ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এই কর্তৃপক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিটি জেলায় খাদ্য আদালত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি হবে চিকিৎসা ও হাসপাতাল বিভাগ অন্যটি হবে জনস্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।  দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য/হেলথ কার্ড দিতে হবে। কার্ডধারীরা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সব ওষুধসহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা সেবা পাবেন। অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য বিমা চালু করতে হবে। বিলাসদ্রব্য, ধূমপান ও অন্যান্য নেশাজাত সামগ্রী থেকে অতিরিক্ত কর আদায় করে স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল তৈরি করতে হবে। সংক্রামক রোগের পাশাপাশি অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে কর্মকৌশল নির্ধারণ করে সেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশ ও জন স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় রেখে অন্যসব নীতি এবং আইন সংস্কার করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  নির্ধারিত মান অনুযায়ী কৃষিকে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ক্রমশ রাসায়নিক কীটনাশক ও সারের সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জিএমও ফসল উৎপাদন নিষিদ্ধ করতে হবে। পোলট্রি ফিড, ফিস ফিড, লাইভ-স্টক ফিড, এগুলো মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান, ঢাকা-৮ আসনের বাসদের মনোনয়ন প্রার্থী শম্পা বসু প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ ডিসেম্বর ২০১৮/নাসির/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়