ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নির্বাহী হাকিম আবু তাহেরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৭, ১০ নভেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাহী হাকিম আবু তাহেরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মোহাম্মদ সাঈদের  (৫৮) লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে অফিসার্স ডরমেটরিতে তিনি মারা যান। প্রথমে তার মৃত্যু স্বাভাবিক বলা হলেও পরে এ কর্মকর্তার নাক ও চোখের ওপরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ফলে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার সকালে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রমজান মাহমুদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্ত করেছেন। কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান সেখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ঢাকার মহাখালীতে নমুনা পাঠানো হবে।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, প্রয়াত নির্বাহী হাকিম আবু তাহের সাঈদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এতে লাশের কপাল, নাক ও মাথার ডান পাশে চারটি ছোট্ট আঘাতের চিহ্নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা ধারণা করছেন, এ কর্মকর্তা ডায়রিয়ায় অসুস্থ ছিলেন। সম্ভবত টয়লেটে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হয়েছিলেন।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কথা বলা হয়েছিল।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামিল জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে অফিসার্স ডরমেটরিতে আবু তাহের সাঈদকে (৫৮) অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে দ্রুত তাকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে রাত ১০টায় শহরের পাগলা মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রয়াতের নামজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ শহরের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। শনিবার ময়নাতদন্তের পর দুপুরে দাফনের জন্য নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ময়নাতদন্ত বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ভবিষ্যতে এ মৃত্যু নিয়ে যেন কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে সেজন্য ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া কয়েকটা ছোটখাট আঘাতের চিহ্নও ছিল। তিনি বলেন, ওই সময় উনার সঙ্গে কেউ ছিল না, তাই ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব নয়।

চিরকুমার আবু তাহের সাঈদ চাকরির বেশিরভাগ সময় কিশোরগঞ্জ জেলায় কাটিয়েছেন, তাই স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে এ কর্মকর্তার ভালো সম্পর্ক ছিল। এ কারণে তার মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জে শোকের ছায়া নেমে আসে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/১০ নভেম্বর ২০১৮/রুমন চক্রবর্তী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়