নৌমন্ত্রণালয়ের ৬৩টি জাহাজ ও নৌযান রয়েছে

সংসদ প্রতিবেদক : বিআইডব্লিউটিএ’র যান্ত্রিক ও নৌপ্রকৌশল বিভাগের মোট ৬৩টি জাহাজ ও নৌযান রয়েছে। এসব জাহাজ ও নৌযানের মধ্যে বয়া টেন্ডার ভ্যাসেল ৩টি, কোস্টাল সার্ভে জাহাজ ১টি, উদ্ধারকারী জাহাজ ৪টি, টাগ জাহাজ ৯টি, সার্ভে কাম ইন্সপেকশন জাহাজ ১০টি, সার্ভে ওর্য়াকবোট ১৩টি, কেবিন ক্রুজার/স্পিড বোট ৯টি, ট্রেনিং জাহাজ ১টি, সার্ভে হাউজ বোট ৩টি এবং মাকিং বোট ১০টি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে নওগাঁ-১ আসনের সাংসদ সাধন চন্দ্র মজুমদারের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান সংসদকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন নৌযান সমূহ অভ্যন্তরীণ সকল নৌদুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযান, রুটে নৌপথ সংরক্ষণের কাজ পরিদর্শন এবং নৌপথ, নদী জরিপ ও পরিচালনা কাজে নিয়োজিত থাকে। বিআইডব্লিউটিএ’র যান্ত্রিক ও নৌপ্রকৌশল বিভাগের নতুন জাহাজ ক্রয় বা নির্মাণ করার ভবিষৎ পরিকল্পনা আছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসি’র অধীনে বিভিন্ন ধরণের ১৮১টি নৌযান রয়েছে। এর মধ্যে সচল রয়েছে ১০১টি নৌযান যা দেশের অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথে চলাচল করে থাকে। নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে বিআইডব্লিউটিসি ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের ১৯টি ফেরি, ১০টি পন্টুন, ২টি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী (এমভি বাঙালি ও এমভি মধুমতি) জাহাজ, ১২টি ওয়াটার বাস, ৪টি সি-ট্রাক ও ৪টি কন্টেইনারবাহী জাহাজসহ মোট ৪১টি বাণিজ্যিক নৌযান এবং ১০টি সহায়ক নৌযানসহ সর্বমোট ৫১টি নৌযান নির্মাণপূর্বক সার্ভিসে নিয়োজিত করেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ সকল নতুন ও আধুনিক নৌযানকে সার্ভিসে নিয়োজিত করার ফলে ক্রমবর্ধিত যানবাহন ও যাত্রীর সুষ্ঠু বহনসহ ঈদের সময় নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে।

নৌমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮টি ফেরি রুটে দৈনিক গড়ে সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরণের ৮টি নৌযান নির্মাণাধীন রয়েছে এবং ১৬ দশমিক ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে রো রো ফেরি হামিদুর রহমান ও রো রো ফেরি মতিউর রহমান রি-ইঞ্জিনিং ও আংশিক পুনবার্সনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ঝালকাঠি-১ থেকে নির্বাচিত এমপি বজলুল হক হারুণের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বিআইডব্লিউটিসি একটি সরকারি সেবামূলক বাণিজ্যিক জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা। দেশের অভ্যন্তরীন ও উপকূলীয় নৌ-রুটে নিরাপদ যাত্রী, যানবাহন ও পন্য পরিবহনে বিআইডব্লিউটিসি অঙ্গীকারবদ্ধ।

মন্ত্রী বলেন, নৌ দুর্ঘটনা রোধকল্পে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেতসমূহ সকল ধরণের নিরাপত্তা সংকেত প্রদান আধুনিক ও গতিশীল করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ লক্ষ্যে এসটাবলিস্টমেন্ট অফ গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস এন্ড সেফটি সিষ্টেম (জিএমডিএসএস) এবং ইন্ট্রিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএসএনএস) শীর্ষক প্রকল্প গৃহিত হয়েছে, যার বাস্তবায়ন চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও সমুদ্রগামী নৌযানসমূহ সকল ধরণের নিরাপত্তা সংকেত আরো দ্রুততার সঙ্গে পাবে এবং সে অনুসারে করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া দেশের নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সংকেত দান, পূর্বাভাস কেন্দ্রগুলো আরও আধুনিক ও গতিশীল করার পরিকল্পনার বিষয়টি আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ জুন ২০১৮/আসাদ/শাহনেওয়াজ