ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নয় আন্তর্জাতিক উৎসবে সাদিকের ‘আ লেটার টু গড’

রফিক মুয়াজ্জিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ৩ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নয় আন্তর্জাতিক উৎসবে সাদিকের ‘আ লেটার টু গড’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশি তরুণ নির্মাতা হেমন্ত সাদিকের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আ লেটার টু গড’বিশ্বের নয়টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনীত হয়েছে। রোদ্দুর চলচ্চিত্র প্রযোজিত এ  স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে বাংলা ও মারমা ভাষায়।

আগামী ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে তরুণ নির্মাতাদের জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত ২২টি ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ‘আ লেটার টু গড’চলচ্চিত্রটি। বিশ্বের প্রায় ২০০ তরুণ নির্মাতার চলচ্চিত্র থেকে এগুলো নির্বাচিত হয়েছে।

এদিকে ৯ নভেম্বর থেকে ইতালির সিত্তাদেল্লায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জিও ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও এক্সপোসিনেম। এর মূল আয়োজনে প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘আ লেটার টু গড’। এ ছাড়া ৭ থেকে ১১ নভেম্বর নরওয়েতে অনুষ্ঠিতব্য রিঙ্গারাইক আন্তর্জাতিক যুব চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে ‘আ লেটার টু গড’। এই আয়োজনে নরওয়ে, ব্রিটেন ও জার্মানির খ্যাতিমান নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন হেমন্ত সাদিক।

এর আগে গত ১৮ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মরক্কোতে অনুষ্ঠিত অওরজাজাত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নেয় ‘আ লেটার টু গড’। ২৫ সেপ্টেম্বর চীনে অনুষ্ঠিত থার্ড এশিয়া ইয়ুথ মাইক্রো ফিল্ম এক্সিবিশনে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত হয় এটি। দশম আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা তরুণ নির্মাতার পুরস্কার পায় এই ছবি।

চলতি বছরের ১৫ মে জর্ডানে সিনেমাঙ্গা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এরপর ২৬ জুন থেকে ১ জুলাই মেক্সিকোর হিডালগোতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম পাছুকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এর প্রদর্শনী হয়। সিলেট চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায় ‘আ লেটার টু গড’। এ ছাড়া গ্র্যান্ড বাহামায় অনুষ্ঠিত ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও মিসরের এএম এজিপ্ট ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত হয়েছে ছবিটি।

‘আ লেটার টু গড’ চলচ্চিত্রে দেখা যায়, মা-হারা মেয়ে সাংতের গল্প। পাহাড়ের পাদদেশে নিঃসঙ্গ একটি বাড়িতে বাবার সঙ্গে থাকে সে। নিজে নৌকা চালিয়ে স্কুলে যায়, দূর পাহাড়ের ঝরণা থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করে। ছোট্ট সাংতে একদিন বাবার মন খারাপ দেখে কারণ জানতে চায়। বাবা জানান, সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, আবারও ফসল বোনার মতো অর্থ তার কাছে নেই। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘মৌসুমের শেষে হয়তো না খেয়ে মারাই যেতে হবে। একমাত্র ঈশ্বরই আমাদের বাঁচাতে পারে।’

বাবার কথায় আশান্বিত হয়ে ওঠে সাংতে। ঈশ্বরের কাছে নিজেদের অবস্থা বর্ণনা করে চিঠি লেখে সে। ‘প্রাপক : ঈশ্বর’লেখা দেখে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন পোস্ট মাস্টার। পড়েন চিঠিটা। নিজেই একটা ফিরতি চিঠি লিখে দেন আর সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু অর্থও পাঠান ছোট্ট সাংতের সরল বিশ্বাস ঠিক রাখার জন্য। কিন্তু টাকার অংক দেখে উল্টো পোস্ট মাস্টারকেই অবিশ্বাস করে সে। যেহেতু ঈশ্বরের কোনো অভাব নেই, সুতরাং নিশ্চয়ই তিনি প্রয়োজনীয় পুরো অর্থই পাঠিয়েছেন। সাংতে ভাবে, পোস্ট মাস্টারই হয়তো টাকাটা সরিয়েছে। তাই পরের চিঠিতে ঈশ্বরের কাছে নালিশ করে তার বিরুদ্ধে।

ছবিটির শুটিং হয়েছে বান্দরবানে। অভিনয় করেছেন উনি প্রূ মারমা ও অং চৌ মং। গ্রেগরিও ওয়াই ফুয়েন্তেসের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন শাওন কৈরি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ অক্টোবর ২০১৭/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়