ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পলাতক ২ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ১৮ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পলাতক ২ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় পলাতক দুই আসামি মো. মামুনুর রশিদ ও মো. শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আদালতের প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান বলেন, গত ২৯ আগস্ট পলাতক আসামিদের সম্পত্তি ক্রোক এবং তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে আদালত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শরিফুল ইসলামের এবং বৃহস্পতিবার রশিদের সম্পত্তি ক্রোক ও হুলিয়া সংক্রান্তে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা পড়ে। এরপর বিচারক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন। যার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

মামলাটিতে গত ৮ আগস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত। চার্জশিটে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আসামিরা হলেন-হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম ৬ আসামি কারাগারে আছেন। এদিন কারাগারে থাকা ওই ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে। ওই ঘটনায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা, জাপানি, ইতালি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভতু আমেরিকানসহ ১৮ বিদেশি ও ২ বাংলাদেশি এবং ৬ জঙ্গিসহ ২৮ জন নিহত হন। ২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়