ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার জন্মস্থান ঘুরে দেখলেন

জে.খান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৩ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার জন্মস্থান ঘুরে দেখলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার জন্মস্থান বরিশালের অলিগলি ঘুরে বেরিয়েছেন।

তিনি তার জন্মস্থান নগরীর বগুড়া রোডের ডগলাস বোর্ডিং (সেন্ট এ্যানস্ মেডিকেল সেন্টার) পরিদর্শনকালে রেজিস্ট্রারে তার মায়ের নাম দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ৩০ আগস্ট এখানে জন্মগ্রহণ করেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ১৪৫০।

এরপর তিনি বিএম কলেজ সংলগ্ন তার পৈত্রিক বাড়ির সামনে এসে খুঁজে ফেরেন তার শিশুকালের স্মৃতি। বিএম কলেজের সামনে পৌঁছামাত্র কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সত্রীক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

সেখানে হাঁটতে হাঁটতে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্মৃতির বিলুপ্তি নেই। যত ঘুরে যাই, কেবলই স্মৃতির দেখা পাই।’’

পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই অনুভূতি নিজের কাছে থাকাই ভালো। জন্মস্থান, পূর্বপুরুষের পৈত্রিক বাড়ি ঘুরে দেখার জন্যই তার বরিশাল আগমন। জন্মস্থান দেখে অভিভূত।

তখনকার বরিশাল আর এই বরিশালের পার্থক্য- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখনকার বরিশাল এত উন্নত ছিল না। তখন রাস্তাঘাট ছিল না। গ্রাম্য পরিবেশ ছিল। ডগলাস বোডিংয়ের (যেখানে তিনি জন্মেছেন) চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত ছিল না।

তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা দুটি দেশের ব্যাপার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে যা বলার বলেছেন। এর বেশি কোনো কথা তিনি বলবেন না। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই হবে। এখানে তার ব্যক্তিগত মতামতের জায়গা নেই।

এ সময় বিমান বন্দোপাধ্যায়ের সহধর্মিনী নন্দিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের মিডিয়া এটাচি রঞ্জন মন্ডল, বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর তিনি বরিশালের গৌরনদীর ঐতিহ্যবাহী মাহিলাড়া মঠ, আগৈলঝাড়ার গৈলায় মনসা মঙ্গলের কবি বিজয়গুপ্তের মনসা মন্দির পরিদর্শনে যান। বিকেলে তিনি বরিশাল মহাশ্মশান ও চারণ কবি মুকুন্দ দাশ প্রতিষ্ঠিত কালিমন্দির পরির্দশন করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরণের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে বুকের ভেতর চাপা প্রত্যাশা ছিল জন্মভূমিতে আসার। সেই আশা পূরণ হয়েছে। পরিবারের আর কেউ বাংলাদেশে আসার সুযোগ পায়নি।

তিনি বলেন, একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশভাগের সময় জন্মস্থান ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল তার পুরো পরিবারকে। কলকাতায় গিয়েও একটা করুন অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তারা। বাবা প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠাকুর দাদা সতীশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বরিশালে আইন পেশায় ছিলেন।

আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সকাল ১১টায় সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বরিশালের সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।



রাইজিংবিডি/বরিশাল/৩ নভেম্বর ২০১৭/জে.খান স্বপন/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়