ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন তিন পর্যায়ে ফাঁস হয়’

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২৮ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন তিন পর্যায়ে ফাঁস হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, পাবলিক পরীক্ষার যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তা তিনটি পর্যায়ে হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

আব্দুল বাতেন বলেন, তিনটি পর্যায়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। প্রথমত, যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকেন তাদের মধ্যে কেউ প্রশ্ন ফাঁস করেন। দ্বিতীয়ত, যে জায়গা থেকে প্রশ্নপত্র মুদ্রণ হয় (বিজি প্রেস) সেখান থেকে। তৃতীয়ত, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে পরীক্ষার কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার সময়।

সোমবার রাতে ঢাকার তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের মেইন গেইটের পাশের যাত্রী ছাউনি হতে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ৯ জনকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আশুলিয়ার গাজীরচট এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোজাফফর হোসেন, টঙ্গীর কোনিয়া কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. হামিদুর রহমান ওরফে তুহিন, সৃষ্টি সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, এএম উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী মো. আব্দুল মজিদ এবং ছাত্র মো. আরিফ হোসেন আকাশ ওরফে আদু ভাই, মো. সাইদুর রহমান, মো. রাকিব হোসেন ও তানভীর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল বাতেন আরো বলেন, প্রশ্ন সংগ্রহ করার পর তারা এর সামাধান করে তা ফেসবুকে চালু করা গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছে দিয়ে দিতেন শিক্ষকরা। গ্রুপের অ্যাডমিনের নাম জিএম সাগর। ওই গ্রুপে দুই হাজারের বেশি সদস্য রয়েছে। উত্তরসহ প্রশ্নপত্র সদস্য ৫০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত বিকাশের মাধ্যমে দিত



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মার্চ ২০১৭/নূর/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়