ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পার্কে বসেই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ!

অলোক সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৭ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পার্কে বসেই নদীর সৌন্দর্য উপভোগ!

ঝালকাঠি সংবাদদাতা: ঝালকাঠি শহরে সুগন্ধা নদীর তীরে সাধারণ মানুষের বেড়ানোর স্থান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে মনোরম ‘ডিসি পার্ক’।

স্থানীয়দের চিত্তবিনোদনের কথা চিন্তা করেই উদ্যোগটি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চিত্তবিনোদনে ঝালকাঠি শহরের মানুষের ঘুরে বেড়ানোর মতো তেমন কোন স্থান নেই। তাই বিভিন্ন উৎসবে-অবকাশে মানুষ ছুটে যায় গাবখান সেতুতে। ছুটির দিনে এই সেতুতে মানুষের ঢল নামে।

সাজানো-গোছানো একটি বেড়ানোর মতো স্থান এখানের মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া। তাদের সে চাওয়া পূরণেই শহরের সুগন্ধা নদী তীরের লিচু তলা এলাকায় মনোরম পরিবেশে পার্কটি করা হচ্ছে। দ্রুত গতিতে পার্কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক ওই স্থানটির সৌন্দর্য বর্ধন করে ডিসি পার্ক হিসেবে গড়ে তেলার সিদ্ধান্ত নেন। কালেক্টরেট বিদ্যালয়ের পাশে এই পার্কটি গড়ে তোলায় স্থানীয়রাও খুশি।

সুগন্ধা তীরের এই লিচুতলা এলাকায় বিনোদনপ্রেমিদের যাতায়াত ছিল আগে থেকেই।  গাছের ছায়ায় সারাক্ষণই শীতল থাকে স্থানটির পরিবেশ। ছায়া সুনিবিড় পার্কে বসে দেখা যাবে সুগন্ধা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পড়ন্ত বিকেলে পাখির কিচিমমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠবে পার্ক। রাতেও ঘুরতে আসা মানুষের সুবিধার্থে স্থাপন করা হয়েছে নানা ধরনের আলোকসজ্জা। পার্কের মধ্যে থাকবে পিকনিক স্পট। শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলনা নির্মাণের প্রস্তুতিও চলছে।

এছাড়া থাকবে কফি কর্নার, একটি ওভার ব্রিজ। সীমানা প্রাচীর দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হবে।

ঝালকাঠির শহরের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট শামীম আলম বাবু বলেন, ‘শহরের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার কোন পরিবেশ বা স্থান নেই। মানুষ ঈদ বা অন্য কোন বিশেষ সময় গাবখান সেতুতে ঘুরতে যায়। আমরাও অনেকবার গিয়েছি। এখন শহরের মধ্যেই নদীতীরে একটি পার্ক হচ্ছে। এখানে মানুষের ভিড় বেশি থাকবে। কারণ পরিবেশটা অত্যন্ত ভাল ও মনোরম।’

টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সহসভাপতি সাংবাদিক হেমায়েত উদ্দিন হিমু বলেন, ‘পার্কটি গড়ে উঠলে মানুষের চিত্তবিনোদনের একটি নিরাপদ ও নির্দিষ্ট স্থান হবে। নদীর তীরে বসে সমুদ্র বিচে ঘোরার মতো তৃপ্তি পাওয়া যাবে। সন্ধ্যায় সুর্যাস্ত দেখাও যাবে। জেলা প্রশাসকের এ মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এ কর্মের জন্য জেলাবাসী তাকে দীর্ঘদিন মনে রাখবে।’

ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদ হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের শহরের মধ্যে একটি সুন্দর পার্ক হচ্ছে, এটা আনন্দের খবর। সুগন্ধা নদীর সৌন্দর্যও দেখা যাবে পার্কে বসে। একই সঙ্গে নদী দেখা হলো, আবার মনোরম পরিবেশে সময় কাটানোও গেলো। তবে পার্কের মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। তাহলে শিশু, কিশোর ও বয়স্করাও সেখানে গিয়ে বসতে পারবে।’

ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সভাপতি, শিশু সংগঠক কাজী খলিলুর রহমান বলেন, ‘পার্কটির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হলে এটি জেলার আকর্ষণীয় স্থান হবে। এখানে মানুষ চিত্তবিনোদনের জন্য ছুটে আসবে।’

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ‘ঝালকাঠিতে কালেক্টরেট স্কুল ছিল না। আমরা সুগন্ধা নদী তীরে স্কুল করেছি। তার পেছনে ছায়া সুনিবিড় পরিবেশে আমরা ‘ডিসি পার্ক’ করছি। পার্কের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। কাজ সম্পন্ন হলে ডিসি পার্কটি একটি আকর্ষণীয় স্থান হবে। মানুষ নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।’




রাইজিংবিডি/ ঝালকাঠি/১৭ জুন ২০১৯/অলোক সাহা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়