ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পিপি রথীশ হত্যা : স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নজরুল মৃধা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পিপি রথীশ হত্যা : স্ত্রী ও প্রেমিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী দীপা ভৌমিক এবং তার প্রেমিক কামরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

মামলায় অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত মিলনসহ অপর চার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর রংপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এই মামলায় ৮০০ পৃষ্ঠার বেশি নথিপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ৫ মাস ১২ দিনের মাথায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে বাবু সোনার ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।  হত্যার দুই সপ্তাহের মধ্যে তারা ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেয়েছেন। এই মামলায় মোট ৪০ জন সাক্ষী রয়েছে। বাবু সোনার বিশাল অর্থ ও পরকীয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও কামরুল ইসলাম।

কামরুল জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তিনি রংপুর নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৫ বছর সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে আসছেন। আইনজীবী বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিক একই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। হত্যাকাণ্ডের ৮ মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হত্যার ৪ মাস আগে থেকে তারা দুইজনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বাবু সোনা আইনজীবী ও প্রভাবশালী হওয়ায় বিয়েতে বাধা হতে পারে-এমন মনে করে তারা তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কামরুল তার জবানবন্দিতে আরও জানান, তার ধারণা ছিল বাবু সোনাকে হত্যার পর তারা দুইজনে বিয়ে করার পর বাবু সোনার বিশাল সম্পদ ভোগ করতে পারবে। হত্যার পর লাশ কোথায় পুঁতে রাখবে, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা কীভাবে প্রচার করবে সব পরিকল্পনা করা হয়।

গত ২৯ মার্চ রাতে বাবু সোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরে পুতে রাখা হয়। ৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক ওরফে দীপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব আটক করে। তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান। সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতে মোল্লাপাড়ার একটি বাড়ির মেঝে খুড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিক, প্রেমিক কামরুল ইসলাম, মিলন মোহন্ত, ছাত্র মোল্লাপাড়া এলাকার সবুজ ইসলাম ও রোকনুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে।

কারা হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন মোহন্ত মারা যায়। আসামি সবুজ ইসলাম, রোকনুজ্জামান, খড় বিক্রেতা স্বপন রায়কে অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। 



রাইজিংবিডি/রংপুর/১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮/নজরুল মৃধা/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়