ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, কৌশলী চালক-মালিক

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ২২ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, কৌশলী চালক-মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে ২০ বছরের বেশি পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। মামলা, কারাদণ্ড এড়াতে কৌশল গ্রহণ করেছেন চালক-মালিকরা।

কোন এলাকায় অভিযান চলছে তা জেনে গাড়ি বের করা হচ্ছে। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অধিকাংশ পুরোনো গাড়ি ডাম্পিং হচ্ছে না।

বুধবার গুলিস্তান, বাবু বাজার এলাকায় চলছিল বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। খবর ছড়িয়ে পড়ায় এসব এলাকায় বাস চলছে সীমিত।

এ বিষয়ে দিশারী পরিবহনের চালক নূর হোসেন বলেন, গাড়ির কাগজ-পত্রসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। যা আছে তাও জাল। ট্রাফিক ধরলে মাফ পাওয়া যায় কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদলত ধরলে দোষ আর দোষ। তাই অভিযানের খবর শুনে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছি, অভিযান শেষ হলে চালাব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান গত ৫ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। অভিযান  শুরুর পর পুরাতন বাসগুলো ওয়ার্কশপে চলে যায়। এগুলোকে ঘষে রং  দিয়ে নতুন করা হচ্ছে। এ ছাড়া  গাড়ির গ্লাস, ইন্ডিকেটর বাতি লাগানোসহ বিভিন্ন কাজ করানো হচ্ছে। আবার অনেকে জাল কাগজপত্র তৈরি করে  গাড়ি চালাচ্ছেন।

গুলিস্তান-রায়েরবাগ রুটের তারাবো গাড়ির সুপারভাইজার রাজ কুমার ঘোষ বলেন, মোবাইল কোর্টের কারণে গাড়ি চালানো সীমিত রাখা হয়েছে। বুধবার সকালে খবর আসে মোবাইল কোর্ট বসবে। এরপর থেকে বিভিন্ন কোম্পানির গাড়ি সীমিত আকারে চালাচল করছে।

এ ব্যাপারে ডিএসসিসির ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন সরদার বলেন,  গত  ৫ মার্চ থেকে ২০ বছরের পুরোনো গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ পর্যন্ত  ৫৪টি গাড়ি আটক করে ডাম্পিং করা হয়েছে। এসব গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা ও জাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানোর অপরাধে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৫০ চালককে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সূত্র জানায়, রাজধানীর ১৯৩টি রুটে প্রায় সোয়া ৩ হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ বাস চলাচলের অনুপযোগী। সে বাসগুলো আর রাজধানীতে চলতে পারবে না। কয়েক মাস ধরে বিআরটিএ এসব পুরোনো বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া বন্ধ রেখেছে। এখন কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে ফিটনেস টেস্ট করা হয়। সে কারণে পুরোনো বাসগুলোকে আর ফিটনেস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ, বিআরটিএ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মেয়র সাঈদ খোকন ঘোষণা দেন, ২০ বছরের অধিক সময় ধরে ব্যবহৃত বাস ৫ মার্চ থেকে রাজধানীতে আর চলতে দেওয়া হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৭/আসাদ/হাসান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়