ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পুলিশি পাহারায় ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুলিশি পাহারায় ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী দল।

পুলিশের কড়া পাহারায় শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে তারা এ কর্মসূচি পালন করে।

বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে তারা পৃথক পৃথকভাবে মিছিল বের করে। মিছিল পুরানা পল্টন ঘুরে হাউজ বিল্ডিং, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে আবার বায়তুল মোকাররমে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলের আগে উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর শাখা। মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সেক্রেটারি জুনাইদ আল হাবিব, মহানগর নেতা আব্দুর রব ইউসুফী, হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মুজিবুর রহমান হামীদি, মুফতি ফখরুল ইসলাম, সুলতান মহিউদ্দিন প্রমুখ।

মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ। কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে আপনি জোরালো চেষ্টা করলে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। এজন্য আপনার অগ্রণী ভূমিকা আশা করছি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ আরাকান স্বাধীন করা। স্বাধীন আরাকান ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

কাসেমী আরো বলেন, বার্মা সরকার গণহত্যার রেকর্ড অতিক্রম করেছে। যেভাবে রাখাইন এলাকায় ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুড়িয়ে মানুষ মারা হচ্ছে তা অমানবিক।

সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পাশে থাকুন, তাদের খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হেফাজতের এই নেতা।

ইসলামী যুব আন্দোলনের বিক্ষোভ : রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী যুব আন্দোলন। মিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী।

তিনি বলেন, আরাকান রাজ্য থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করতেই পরিকল্পিত গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে শান্তিতে কথিত নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি ও মিয়ানমার সরকার। তারা রোহিঙ্গা নিধনের মদদদাতা ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করছেন। শুধু লোক দেখানো নিন্দা নয় বরং মিয়ানমার সরকারকে গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে বাধ্য করতে সামরিক ব্যবস্থা করতে হবে। জাতি নিধন ও গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সুচি ও সামরিক জান্তার বিচার করতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি মানসুর আহমদ সাকীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। যুবনেতা মু. বশির উল্লাহ, আতিকুর রহমান মুজাহিদ, মোখতার হোসাইন, শেখ মু. নুর-উন-নাবী, মাহবুব আলম, মহানগর উত্তরের সভাপতি নুরুল ইসলাম নাঈম, ঢাকা জেলা সভাপতি মাওলানা বিল্লাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মাওলানা আব্দুল আহাদ প্রমুখ।

সুচির প্রতীকী কফিনে আগুন : রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নজরকাড়ে মিয়ানমারের পতাকায় এবং দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সুচির প্রতীকী কফিনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বরোচিত গণহত্যার ঘটনার জন্য দায়ী করে মিয়ানমারের পতাকায় ও সুচির প্রতীকী কফিনে আগুন দেয় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামীদি, যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/নঈমুদ্দীন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়