ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পূবালীর টাকা আত্মসাতের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ২৪ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পূবালীর টাকা আত্মসাতের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া ঋণ সৃষ্টি করে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের মাধবদী শাখা থেকে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংক ম্যানেজারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ( অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার ঢাকার নিম্ন আদালতে দুদকের উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম এই চার্জশিট দাখিল করেন। এ বিষয়ে ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর পূবালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য রাইজিংবিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের মাধবদী শাখার প্রাক্তন ব্যবস্থাপক (বর্তমানে বরখাস্তকৃত) সাজ্জাদুর রহমান খান, এনএইচকে ফেব্রিক্স এন্ড টেক্সটাইলের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ সাইকুল মামুন, তার স্ত্রী  কাকলী বেগম, প্রোঃ ইজাজ টেক্সটাইলের মালিক মো: নাজমুল মোমেন, মেসার্স ইরফান টেক্সটাইলের মালিক মো: আতাউর রহমান,  মেসার্স রেমিয়েন কমিউনিকেশন্সের মালিক মওদুদুর রহমান খান, তার স্ত্রী ফারহানা নুসরাত খান,  রেমিয়েন ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের মালিক মোঃ বাহাউদ্দিন সাদী, মোঃ মোরসালিন রহমান, মোহাম্মদ আলমগীর আহমেদ এবং  মোহাম্মদ শফিউল আলম।

মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, তদন্তকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি, প্রতারণা, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ঘুষ লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও চরম স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের মাধবদী শাখার ব্যাংক ম্যানেজারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঋণের নামে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে কোনরূপ আবেদনপত্র, জামানত, চার্জ ডকুমেন্ট ইত্যাদি ছাড়াই ৫৫টি ভূয়া ও নগদায়নকৃত মূল্যহীন এফডিআর ইস্যুপূর্বক লিয়েন দেখিয়ে ওডি লোন সৃষ্টি করে আসামিরা।

দুদকের তদন্তে আরো দেখা যায়, ব্যাংক ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান খান ও অন্যান্যরা যোগসাজশে এক গ্রাহকের অর্থ অন্য গ্রাহকের হিসাবে স্থানান্তর অর্থাৎ নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এবং ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অর্থ স্থানান্তর, এলসি ছাড়াই পিএডি সৃষ্টি ও পিএডি একাউন্ট ডেবিট করে অর্থ স্থানান্তর, এলসি মার্জিনে ভূয়া প্রত্যয়নপত্র ইস্যু ইত্যাদি অবৈধ প্রক্রিয়ায় মোট ৮৮ কোটি ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ মে ২০১৮/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়