পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক মাসে তিন দফায় অস্বাভাবিক হারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

বৃহস্পতিবার কনশাস কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) পক্ষে এ নোটিশ পাঠান তিনি।

বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানকে তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম গত এক মাসে তিন দফায় ২০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। নিঃসন্দেহে এটি অস্বাভাবিক।  বিভিন্ন গণমাধ্যম এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করলেও সরকারের কাছ থেকে দাম বৃদ্ধির কারণ জানা যানি। এ ছাড়া পণ্যের দাম তদাররি ও বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষও এ ব্যপারে উদাসীন।’

জনস্বার্থ বিবেচনায় আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা না পেলে বা ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।

১৩ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত টিসিবি তিন দফায় দাম বাড়িয়ে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করেছে। নোটিশে সে পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়। 

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ১৩ জুলাই টিসিবি প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ২৮-৩২ টাকা এবং আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ধরা হয় ২২-২৫ টাকা।

এর ২০ দিন পর অর্থাৎ ৮ আগস্ট টিসিবির মূল্য তালিকায় দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ধরা হয়েছে ৪০-৫০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ধরা হয়েছে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা।

২০ দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায় ১০ থেকে ২০ টাকা।

এরপর মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে ১৬ আগস্ট টিসিবি আবারও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে। এবারও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০-৬৫ টাকা। আমদানিকৃত প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫০-৫৫ টাকা।     



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ আগস্ট ২০১৭/মেহেদী/রফিক