ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রকৃতির কোলে নয়নাভিরাম ডাম্বুলা স্টেডিয়াম

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ২৪ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রকৃতির কোলে নয়নাভিরাম ডাম্বুলা স্টেডিয়াম

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ডাম্বুলা থেকে : এক পাশে পাহাড়, অন্য পাশে লেক। দুইয়ের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০০০ সালে ইংল্যান্ড ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার ম্যাচের মধ্য দিয়ে এ স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু। এর পর থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করে আসছে ৬০ একর জায়গার ওপর নির্মিত মনোমুগ্ধকর স্টেডিয়ামটি।



২০০৩ সালে এ স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা হয়। ৮টি ফ্লাডলাইট স্ট্যান্ডের নিচে প্রথমবারের মত দিবারাত্রির ম্যাচে অংশ নেয় অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কা। এরপর নিয়মিত কৃত্রিম আলোয় চলে ক্রিকেট খেলা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি ওয়ানডে খেলবে এ মাঠে। ২৫ মার্চ প্রথম ওয়ানডে, ২৮ মার্চ দ্বিতীয়।



স্টেডিয়ামটিতে ঢুকতেই মন জুড়িয়ে যাবে যেকোনো ক্রিকেটপ্রেমির। কলম্বো-ডাম্বুলা মহাসড়কের বামপাশে স্টেডিয়ামটি। বড় করে লিখা আছে,‘রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। প্রোপারটি অফ: রনগিরি ডাম্বুলা রাজা মাহা ভিদিয়া।’ প্রধান প্রবেশ পথ পাড় হওয়ার পর লম্বা রাস্তা। দুপাশে সারি সারি গাছ। কিছুদূর পর দেখা মিলল টেনিস কোর্ট ও বাস্কেটবল কোর্টের। এর পাশেই ডাম্বুলা স্টেডিয়াম।



তিন দিকে খোলা স্টেডিয়ামের পূর্বে দিকে রয়েছে ডাম্বুলা রক পাহাড়। ওখানেই ডাম্বুলার সবথেকে বড় বৌদ্ধ মন্দির। মন্দিরটা অবশ্য গুহার ভিতরে। খ্রিষ্টপূর্ব ৮৫’র আগে নির্মিত এ গুহার মন্দিরে রয়েছে ১৫৩টি বৌদ্ধ মূর্তি। স্টেডিয়ামটির পঞ্চিমে ডাম্বুলা ট্যাংক বা ডাম্বুলা জলাধার। কৃষিভিত্তিক শহর ডাম্বুলার পানির প্রধান উৎস এ জলাধার। এ জন্য একে বলা হয় ডাম্বুলা ট্যাংক।



স্টেডিয়ামটির উত্তরে স্কোরবোর্ড। বাউন্ডারির বাইরে নারিকেল গাছের সারি। ছোটখাটো জঙ্গলও বলা যায় একে। তবে জঙ্গলগুলোকে খুব সন্দর করে ব্যবহার করেছে স্থানীয় সরকার। ছোটখাটো রিসোর্ট গড়ে উড়েছে, রাস্তাও তৈরি হয়েছে। এর উল্টোদিকে দক্ষিণে প্রেসিডেন্ট বক্সসহ প্রোডাকশন সেন্টার, মিডিয়া সেন্টার ও ভিভিআইপি বক্স। একমাত্র বিল্ডিংটিও ৮ থেকে ১০ তলার। ত্রিশ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ স্টেডিয়ামটিতে ১৬ হাজার ৮০০ সিট বসানো হয়েছে। এছাড়া পূর্ব ও উত্তর এবং দক্ষিণের একপাশে রয়েছে উন্মুক্ত মাঠ। সেখান থেকে শুয়ে-বসে দেখা যাবে চার-ছক্কার হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ।



২০১০ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ খেলেছিলে এ মাঠে। তিনটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রকৃতির কোলে শুয়ে থাকা এ স্টেডিয়ামে এবার ভাগ্য পাল্টায় কিনা সেটাই দেখার বিষয়।



রাইজিংবিডি/ডাম্বুলা (শ্রীলঙ্কা)/২৪ মার্চ ২০১৭/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়