প্রতিবন্ধী শিশুটির পরিচয় মিলছে না

বাগেরহাট সংবাদদাতা : বাগেরহাট সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় (১৩) প্রতিবন্ধী শিশুটি। ১০ দিন পার হয়ে গেলেও পিতা-মাতা, অভিভাবক বা কোনো আত্মীয়-স্বজন খোঁজ নিতে আসেনি। কথা বলতে না পারা কঙ্কালসার শিশুটি ২৫ এপ্রিল রাত থেকে সদর হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগের ৬ নম্বর বেডে রয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৫ এপ্রিল রাতে সুন্দরঘোনা গ্রামের এম এম আহসান আলী শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তারপর থেকে হাসপাতালে আছে। চিকিৎসকরাও আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কথা বলতে না পারায় এবং অভিভাবক না থাকায় ওর সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোববার বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কঙ্কালসার শিশুটির শরীরে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে। পাশের শয্যার রোগীর স্বজনরা ওকে গোসল করিয়েছে এবং কিছু কিছু নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করছে।

এম এম আহসান আলী বলেন, ২৫ এপ্রিল রাতে খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারের ভিতরে পূর্বপাশের ছোট রাস্তার পাশে খাটের উপর শিশুটিকে দেখতে পান। অনেক লোক শিশুটিকে ঘিরে ছিল। কিন্তু কেউ শিশুটির দায়িত্ব নিতে চায়নি। পরে তিনি উপস্থিত সকলের সম্মতিতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেন। তারপর থেকে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, সদর হাসপাতালে অজ্ঞাত শিশুটির বিষয়ে জানার পর থেকে বিভিন্নভাবে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। সবাই মিলে ওর অভিভাবকদের খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ যদি শিশুর পরিচয় জানে তাকে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।



রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/৫ মে ২০১৯/আলী আকবর টুটুল/বকুল