ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স : এম এ সালাম

নিয়াজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স : এম এ সালাম

প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এ সালামের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন নিয়াজ মাহমুদ

উন্নত সেবার মান দিয়ে গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যাশা পূরণ করছে পুঁজিবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সেবা ও প্রবৃদ্ধির গতি আরো বেগবান করতে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও সকল নির্বাহী কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন বলে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) বিশিষ্ট বিমা প্রশিক্ষক এম এ সালাম।

 

সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয়ে রাইজিংবিডিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের সেবার মান, সম্ভাবনা ও বর্তমান বিমা খাতের অবস্থান নিয়ে এই বিমাবিদ কথা বলেন রাইজিংবিডির অর্থনৈতিক প্রতিবেদক নিয়াজ মাহমুদ সোহেলের সঙ্গে।

 

ঘণ্টাব্যাপী এই আলাপচারিতার মাঝে ছবি তোলেন রাইজিংবিডির সিনিয়র ফটো সাংবাদিক শাহীন ভূঁইয়া

 

রাইজিংবিডি : বিমা খাতে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার গল্পটা যদি পাঠকদের জানান।

এম এ সালাম : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে ১৫ মার্চ ১৯৮৮ সালে ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করি। তখন সাধারণ বিমা সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। কারণ, এর আগে আমি টানা সাত বছর ইংরেজি প্রভাষক ছিলাম। বিমা পেশায় যোগদান করে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। এর পরে ১৯৯৮ সালে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সে জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে যোগদান করি।

রাইজিংবিডি : অন্যান্য পেশা রেখে কিংবা শিক্ষকতা ছেড়ে বিমা পেশার আসার কারণ কী?

এম এ সালাম : অত্যন্ত সুন্দর একটি প্রশ্ন করার জন্য ধন্যবাদ। ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে আমি প্রথম স্থান অর্জন করি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছি। পেশাজীবন প্রথম শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করেছিলাম। তাই এখনো শিক্ষকতা করি। অন্যদিকে বিমার তাত্ত্বিক বিষয়ে আমি জ্ঞান অর্জন কারার চেষ্টা করছি। এককথায় বলতে পারেন, নেশা থেকেই বিমা পেশায় আসা। এ পেশাকে বেশ উপভোগ করছি।

রাইজিংবিডি : প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সম্পর্কে কিছু বলেন।

এম এ সালাম : ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় প্রজন্মের বিমা কোম্পানি হিসেবে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স যাত্রা শুরু করে। স্বনামধন্য ভাইয়া গ্রুপের অর্থায়নে এই কোম্পানির পথচলা। ক্রেডিড রেটিংয়ে ‘এ-প্লাস’ প্রাপ্ত এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সারা দেশে ৫৪টি শাখার মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে আইএসও সনদও অর্জন করেছে এ কোম্পানি।

রাইজিংবিডি : অন্যান্য জেনারেল বিমা থেকে আপনার কোম্পানির বিশেষত্ব বা পার্থক্য কী?

এম এ সালাম : বিমা খাতে দক্ষ জনশক্তির বড়ই অভাব। এমন পরিস্থিতিতে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স সকল স্তরের জনশক্তিকে প্রশিক্ষিত করেছে। বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে শাখা ব্যবস্থাপকদের। কারণ, বিমা একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এ খাতে প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে পুরো প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সকে। ফলে গ্রাহকরা প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছেন।

রাইজিংবিডি : প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের কী কী সেবা দেয়?

এম এ সালাম : আইএসও সনদপ্রাপ্ত প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকদের ২৬টি সার্ভিস দিয়ে আসছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ফায়ার (অগ্নি) ইন্স্যুরেন্স, মেরিন হুল, অল ইন্ডাস্ট্রিজ ইন্স্যুরেন্স, মোটর ভেহিক্যাল ইন্স্যুরেন্স, হেলথ ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদি।

রাইজিংবিডি : সামাজিক দায়বদ্ধতা বা করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) কার্যক্রমে আপনার বিমার অবদান কতটুকু?

এম এ সালাম : সিএসআর কার্যক্রমে আমাদের কোম্পানির অবদান উল্লেখযোগ্য। মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। এ ছাড়া খেলাধুলা ও শিক্ষা খাতে আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ব্যয় করি।

রাইজিংবিডি : সম্প্রতি নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে বলতে গেলে ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। তারপরও আমাদের এখানে ভূমিকম্প বিমা জনপ্রিয় হচ্ছে না কেন?

এম এ সালাম : প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য বিমা রয়েছে। আর ভূমিকম্পে অবকাঠামো কিংবা দালানকোঠার জন্য বিমা করার বিষয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। বিমা খাতের স্টেকহোল্ডারদের উচিত এ ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা। আর মানুষ সচেতন হলে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণে আগ্রহী হবে।

রাইজিংবিডি : বর্তমান বিমা খাতের অবস্থানকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

এম এ সালাম : বিমা খাতের অবদান দিন দিন বাড়ছে। গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত এর বিস্তার ঘটছে। এ খাতে কর্মসংস্থানও বাড়ছে। ভবিষ্যতে বিমা খাতের অবদানে দেশের অর্থনীতি আরো গতিময় হবে বলে আশা করছি।

রাইজিংবিডি : আপনার কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত, শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

এম এ সালাম : ২০০৯ সালে আমরা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হই। এর পর থেকেই শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছি। ভবিষ্যতে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

রাইজিংবিডি : তরুণ ও চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

এম এ সালাম : ইন্স্যুরেন্সে ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ রয়েছে। আর এটি একটি উৎকৃষ্ট পেশা। তরুণ সমাজ যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এ পেশার সর্বোচ্চ পর্যায়ে যেতে পারবে।

রাইজিংবিডি : আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

এম এ সালাম : আপনাকে ও রাইজিংবিডি পরিবারকেও ধন্যবাদ।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ এপ্রিল ২০১৬/নিয়াজ/শাহনেওয়াজ/ এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়