ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

প্রত্যাশা সুষ্ঠু নির্বাচন

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫২, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রত্যাশা সুষ্ঠু নির্বাচন

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হয়েছেন প্রাক্তন সচিব নুরুল হুদা। তার সঙ্গে নিয়োগ পেয়েছেন চার কমিশনার। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সোমবার রাতে পাঁচ সদস্যের এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেন। কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন- প্রাক্তন সচিব রফিকুল ইসলাম, প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, রাজশাহীর প্রাক্তন জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী।

সার্চ কমিটির সদস্যরা নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্ভাব্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের ১০ জনের একটি তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করার পর রাষ্ট্রপতি এই ১২তম ইসি গঠন করেন। এই প্রথম একজন নারী গুরুত্বপূর্ণ এ সাংবিধানিক সংস্থার সদস্য হয়েছেন, যা সব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।

এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাদের পছন্দের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য লোকদের একটি তালিকা সার্চ কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়। ক্ষমতাসীন দল নতুন নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানালেও বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন সিইসি জনতার মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে বিএনপি অভিযোগ করছে।

তবে নতুন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে সুশীল সমাজের মনোভাব ইতিবাচক। তাদের মতে, কমিশনে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের সম্পর্কে তেমন কোনো বদনাম বা বিতর্ক নেই। এখন কাজের মাধ্যমে এই কমিশনকে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।

এই নির্বাচন কমিশনের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন। কমিশনকে নিজেদের কাজ দিয়েই সেটি করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ও কার্যক্রমের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ করতে হবে তাদের। নতুন সিইসি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, নতুন দায়িত্ব চ্যালেঞ্জিং। তবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সব রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

নতুন কমিশনের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ- দেশবাসীকে গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপহার দেওয়া। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে কমিশনের সামনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসছে জাতীয় সংসদের দুটি আসনের উপনির্বাচন। এ ছাড়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনও সম্পন্ন করতে হবে তাদের। বিরোধীদের নতুন কমিশন নিয়ে যতই অভিযোগ থাকুক না কেন, তারা আসন্ন এসব নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখবে।

আমরা আশা করব, নতুন নির্বাচন কমিশন নিজেদের বিতর্কের ঊর্ধ্বে রেখে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে। আমাদের প্রত্যাশা, কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা তারা আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে। নতুন নির্বাচন কমিশনকে সফল দেখতে চাই আমরা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/আলী নওশের/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়