ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নিরপেক্ষ ইসি গঠনে বিএনপির শঙ্কা

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৬, ১৫ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নিরপেক্ষ ইসি গঠনে বিএনপির শঙ্কা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ইসি গঠন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি।

অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে জনগণের যে দাবি, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এর বিপরীত বলেও মন্তব্য দলটির।

রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়, সবকিছুই এখন যেভাবে আছে সেভাবে হবে।

‘তার মানে বিএনপি আগে থেকেই যে আশঙ্কা করছে, তারা (আওয়ামী লীগ) তাদের একতরফা নির্বাচনের যে অভিপ্রায় অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি মতো নির্বাচন, সে ধরনের নির্বাচন করবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সব সময় সংলাপ করতে চাই। তারা (আওয়ামী লীগ) এরশাদের সঙ্গে সংলাপ করে, আইয়ুব খানের সঙ্গে গোলটেবিলে সংলাপ করতে পারে, বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে সমস্যা কোথায়?’

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যম কর্মীরা দমন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করতে আইন প্রণয়নের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিরোধীদের ওপর ধরপাকড় এবং নিরাপত্তা হেফাজতে রেখে নির্যাতনের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিদেশি নাগরিক এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক হারে গ্রেপ্তার, নির্যাতন করছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের চাপে গণমাধ্যম সেল্ফ সেন্সরশিপের পথ বেছে নিয়েছে।’

এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘প্রকৃত অবস্থা আরো ভয়ঙ্কর। বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে তা দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার তুলে ধরলেও বর্তমান স্বৈরশাসক তাদের জুলুম-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেকসহ বাংলাদেশের জনগণ সোচ্চার হতে শুরু করেছে। শিগগিরই তুমুল গণআন্দোলন শুরু করবে জনগণ। অনাচার ও জুলুম করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না।’

বিএনপির সভা-সমাবেশ বানচাল করতেই রাস্তায় প্রোগ্রাম করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে- অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেওয়ার জন্যই এই আদেশ। গণতন্ত্র ক্রমাগত সংকোচনের ধারায় এটি আরেক ধাপ অগ্রগতি।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবির মুরাদ, কাজী আসাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আব্দুল আউয়াল খান, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জানুয়ারি ২০১৭/রেজা/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়