ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রাণ ফিরে পেয়েছে গোপালগঞ্জের ছাপাখানাগুলো

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১২ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রাণ ফিরে পেয়েছে গোপালগঞ্জের ছাপাখানাগুলো

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহর থেকে গোপালগঞ্জের গ্রামাঞ্চল এখন সরগরম। আর এ কারণে গোপালগঞ্জের ছাপাখানাগুলোও যেন জীবন ফিরে পেয়েছে।

তৃতীয় ধাপে গোপালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রতীক সম্বলিত পোস্টার ছাপাতে ছুটছেন ছাপাখানায়। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ছাপাখানার মালিক ও কর্মচারীরা। উপজেলা নির্বাচনের পোস্টার-লিফলেট ছাপিয়ে এবার বেশ লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন তারা।

আগামী ২৪ মার্চ গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দুর্গ হলেও এ জেলায় দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় এ নির্বাচনে ৬৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৮ মার্চ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করা হয়েছে। এরপরই নির্বাচনী প্রচারনার প্রধান অনুসঙ্গ প্রতীক সম্বলিত পোস্টার করতে ব্যস্ত প্রার্থীরা। কে কার আগে এলাকায় পোস্টার দিতে পারেন এ প্রতিযোগিতাও রয়েছে।
 


জেলার ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক প্রেসে ছাপা হচ্ছে এসব পোস্টার। শুধু গোপালগঞ্জ জেলাই নয় পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোল্লাহাট, চিতলমারী, নড়াইলে কালিয়া, পিরোজপুরের নাজিরপুর, ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রার্থীরাও এখানে পোস্টার ছাপাচ্ছেন। ফলে সারা বছর কাজ না থাকলেও ছাপাখানাগুলো এখন কর্মচঞ্চল। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে গত দুটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ছাপাখানাগুলোতে কোন কাজ ছিলনা বলা যায়। এবার গোপালগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে পোস্টার ছাপার কাজ। যে কারণে এবার লাভের আশা করছেন তারা।
 


ছাপাখানার কর্মচারী শহীদুল ইসলাম, নাসির খান বলেন, ‘সারা বছর কাজ কম থাকায় আমরা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকি। এবার প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কাজও বেশি। তাই রাত জেগে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। এতে আমরা অধিক মজুরী পাচ্ছি।’

শহরের খান প্রিন্টিং প্রেস মালিক জাকির খান জানান, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে যিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি নিশ্চিত জয়ী হন। ফলে প্রার্থীর সংখ্যা কম থাকে। তবে এবার আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। বিগত দু’টি স্থানীয় নির্বাচনে পোস্টারের কাজ কম ছিল। ফলে লোকসান দিতে হয়েছিল। তবে এবার ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হবো বলে আশা করছি।’




রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/১২ মার্চ ২০১৯/বাদল সাহা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ