ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ফরিদপুরের করিমপুর যুদ্ধ দিবস আজ

মো. মনিরুল ইসলাম টিটো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফরিদপুরের করিমপুর যুদ্ধ দিবস আজ

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ৯ ডিসেম্বর ফরিদপুরবাসীদের কাছে বিশেষ স্মরণীয় একটি দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে ফরিদপুর জেলা সদরের করিমপুরে পাক বাহিনীর সাথে দিনভর তুমুল যুদ্ধ চলে।

এ যুদ্ধে শহীদ হন সাত মুক্তিযোদ্ধা ও চার গ্রামবাসী।মারা যায় বেশ কিছু সংখ্যক পাকসেনাও।

এদিকে যুদ্ধের পর ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও শহীদদের স্মরণে কোন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সহযোদ্ধারা। অপরদিকে এদিনে শত্রুমুক্ত হয় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া তথ্যমতে, ৯ ডিসেম্বর সকালে পাকসেনাদের একটি জিপ করিমপুর সেতু পার হয়ে চাঁনপুরের দিকে যাওয়ার সংবাদে ওই সেতুর পাশে অবস্থান নেয় কাজী সালাউদ্দিন ও মেজবাহ উদ্দিন নওফেলের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা। এক পর্যায়ে জিপটি ওই এলাকা দিয়ে ফেরার সময় গুলি চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান কয়েকজন পাকসেনা। পরে খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলে পড়ে ফরিদপুর ও কামারখালী থেকে আসা পাক সেনারা। দিনভর যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনীর সাথে।

করিমপুর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ও ফরিদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এর ডেপুটি কমান্ডার মো. খলিলুর রহমান জানান- যুদ্ধে কাজী সালাউদ্দিন, মেসবাহ উদ্দিন নওফেল, আ. ওহাব, আ. হামিদ, মো. মজিবর, মো. শামসুদ্দিন ও মো. মাঈনুদ্দিন নিহত হন। পাকসেনারা এ সময় পুড়িয়ে দেয় অর্ধশত বাড়িঘর। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতার দায়ে গুলি করে হত্যা করা হয় চার গ্রামবাসীকে।

স্থানীয়রা জানান, সেই দু:সহ স্মৃতি মনে করে আজো শিউরে ওঠেন তারা। আজো চোখের পানি ফেলেন সেদিনের স্বজনহারা মানুষ। 

এখানের যুদ্ধকালীন কমান্ডার নুর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুলসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, করিমপুরসহ জেলার সকল রণাঙ্গনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে যুদ্ধের বিবরণ সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের।

অপরদিকে এদিনে শত্রুমুক্ত হয় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা। বোয়ালমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সহকারী কমান্ডার কে এম জহুরুল হক জানান, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘাঁটি ছিল পাক বাহিনীর। বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন চালিয়ে নিরীহ মানুষদের ধরে এনে নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হত সরকারি কলেজের পাশের একটি ডোবায়। যেখানে গণকবর চিহ্নিত  করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

 

 

রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/৯ ডিসেম্বর ২০১৭/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়