ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বগুড়ায় মরিচ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে

একে আজাদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ১০ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বগুড়ায় মরিচ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে

বগুড়া প্রতিনিধি : পরপর দুই বার বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে বগুড়ায় মরিচের আবাদ ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।

ফলনও বাড়ছে বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে জেলার মরিচের ঘাঁটি বলে খ্যাত সারিয়াকান্দি উপজেলায় আবাদ কম হলেও চাষিরা জানিয়েছেন ফলন ও মান ভালো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণে অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এ বছর বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে মরিচ চাষ বিলম্বিত হয়। ফলে সারিয়াকান্দিতে অনেক কৃষক মরিচ চাষ করতে পারেনি।

২০১৮ সালে জেলায় মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৬৯০ হেক্টর। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন। সেখানে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৬৫০ হেক্টরে। গত বছর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর। আর চাষ হয় ৭ হাজার হেক্টরে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া গেছে। যেখানে গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ১ দশমিক ৯ মেট্রিক টন করে। এতে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন, মোট উৎপাদন ১৩ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে।

সারিয়াকান্দি উপজেলার বাটির চর এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ছয় বিঘা জমির মধ্যে তিন বিঘায় মরিচ, আর বাকি জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। এ থেকে মরিচের ফলন পেয়েছেন গড়ে প্রতি বিঘায় নয় মণ করে। তিনি বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় সময়মতো মরিচ চাষ করতে পারেননি।

ওই এলাকার শাহিন ইসলাম জানান, এখন বাজারে প্রতি মণ শুকনো মরিচের দাম ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, গত বছর ছিল ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। তিনি জানান, গতবার দাম কম পাওয়ায় এবার কম আবাদ করেছেন। গতবার চাষ করেছিলেন সাড়ে তিন বিঘা। এবার করেছেন এক বিঘায়।

ওই উপজেলার শাহিদুল, মোফাজ্জল, মিঠু জানান একই কথা। তারা বলেন, এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। অথচ সেই মরিচ বিক্রি করে যদি খরচ ঠিকমতো না ওঠে তাহলে পোষায় কীভাবে?

তারা জানান, উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নে বেশ কিছু ডিলার আছে, যারা বিভিন্ন কোম্পানিকে মরিচ সরবরাহ করে। কিন্তু তারা স্থানীয় মরিচ না কিনে কম দামে আমদানিকৃত মরিচ সরবরাহ করে। এতে করে চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

মরিচের ফলন সব জায়গায় ভালো হচ্ছে। জেলার ধুনট উপজেলার মরিচ চাষি জানান, বৃষ্টির জন্য এবার মরিচ চাষে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতে লোকসানের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু এখন যেমন ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে খরচ পুষিয়ে যাবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ প্রতুল চন্দ্র সরকার রাইজিংবিডিকে জানান, পরপর দুই বার বন্যায় মরিচ চাষ কিছুটা ব্যাহত হয়। এতে সারিয়াকান্দি উপজেলায় মরিচের আবাদ কম হলেও জেলার চাষের ও ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব ফেলেনি। শীতের আবহাওয়ায় মরিচ একটু বড় ও পুষ্ট হয় কিন্তু গরমকাল এসে যাওয়ায় তা হয়ত কিছুটা ছোট হবে। তবুও এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ১ দশমিক ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে থাকবে বলে তিনি আশা করছেন।



রাইজিংবিডি/বগুড়া/১০ মার্চ ২০১৮/একে আজাদ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়