ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বিনোদন পিপাসুদের ভিড়

হাসমত আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বিনোদন পিপাসুদের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : ঈদুল আজহার এক দিন পর সোমবার বিপুল সংখ্যক বিনোদন পিপাসু গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ভিড় করেছেন। বিকেল অব্দি লোকজনের আসা অব্যাহত ছিল। পার্কের কোর সাফারি পার্ক অংশে দিনভরই ছিল দর্শনার্থীর লম্বা লাইন।

পার্কের কোর সাফারি পার্কে রয়েছে- বাঘ, সিংহ, সাদা সিংহ, ভাল্লুক, চিত্রা/ মায়া/সাম্বার হরিণ, ব্লিচ বাক, ব্লাক বাক, আফ্রিকার ওয়াইল্ডবিষ্ট, অরিক্স, কমন এলান্ড, থমসন গ্যাজেল, জেব্রা, জিরাফ। এ গুলো আলাদা আলাদা সীমানা প্রাচীরের ভেতর উন্মুক্তভাবে বিচরণ করে। এসব প্রাণী দেখতে হয় পার্কের নির্ধারিত মিনিবাস/গাড়িতে চড়ে। এ পার্ক দেখার জন্য রয়েছে ২৮-৩০ আসনের ছয়টি মিনিবাস। গাড়ির আসন অনুযায়ী দর্শনার্থী সুযোগ পান।



পার্কে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীর উন্মুক্ত পরিবেশে বিচরণ করা এসব প্রাণী দেখার বিশেষ আকর্ষণ থাকে। যার কারণে পার্কে লোক সমাগম বেশি হলে পার্কের এ অংশ দেখতে সৃষ্টি হয় লম্বা লাইনের। দর্শনার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।

কোর সাফারি পার্কের সামনে কথা হয় সাভারের বাদাইল এলাকা থেকে আসা মো. সফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি সাভার ইপিজেডে চাকরি করেন। তিনি জানান, ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের বিনোদন দিতে এ পার্কে এসেছেন। পরিবারের নয় সদস্য নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌঁছান পার্কে। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে কোর সাফারি পার্কে ঘুরে দেখার সুযোগ পান। এতে তিনি খুব খুশি।

পার্কে কর্মরত ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি পাঁচটি অংশে বিভক্ত। সেগুলো হলো- কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, এক্সটেনসিভ এশিয়ান সাফারি পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। ছুটির বিশেষ দিনগুলো ছাড়া এ পার্কে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন গড়ে ৪/৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। ছুটির বিশেষ দিনগুলোতে লোক সমাগম বেড়ে যায়। তবে লোক সমাগম বেশি হলেও পার্কের অন্য অংশে সমস্যা হয় না।



তিনি জানান, পার্কের সাফারি কিংডমে রয়েছে ময়ূর, ধনেশ, ক্রাউন্ট ফিজেন্টসহ দেশি-বিদেশি নানা জাতের পাখির পাখিশালা, প্রজাপতি কর্নার, কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র, মেরিন একুরিয়াম, ইমু গার্ডেন, ময়ুর/মেকাউ ওপেন ল্যান্ড, লেকজোন ও কুমির পার্ক। প্রতিদিন পার্কের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার দর্শনার্থী। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে দর্শনার্থীরা সুবিশাল সবুজ প্রকৃতি দেখতেও ভিড় জমায়।

পার্কের ইজারাদার শেখ মো. সফিকুর রহমান সফিক জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পার্ক দর্শনাথীদের জন্য খোলা থাকে। ঈদের পর দিন রোববার এ পার্কে প্রায় ১০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছিল। আজ সোমবার ১২ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর হয়েছে। তিনি জানান, গত ঈদ ইদুল ফিতরের চেয়ে এবার লোক সমাগম তুলনামূলক কম।

পার্কে প্রবেশ ফি- প্রাপ্তবয়স্ক জনপ্রতি ৫০ টাকা এবং ১৮ বয়সীদের নিচে ২০ টাকা। শিক্ষা সফরে আসা বা সাধারণ স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। গাড়িতে করে কোর সাফারি পার্ক পরিদর্শনে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিজনের টিকিট ফি ১০০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা।




রাইজিংবিডি/গাজীপুর/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হাসমত আলী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ