ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাঁধ ভেঙে ৫০০ বিঘা জমির ধান পানির নিচে

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৩, ৩০ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাঁধ ভেঙে ৫০০ বিঘা জমির ধান পানির নিচে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামে কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্পের টিআরএমভুক্ত পাখিমারা বিলের সংযোগ খালের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ৫০০ বিঘা জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে।

এ ছাড়া খাল সংলগ্ন লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় শতাধিক ঘর-বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে কাঁচা ঘর ধসে পড়তে পারে বলে ইউপি চেয়ারম্যান আশঙ্কা  ব্যক্ত করেছেন।

ক্ষেতের ধানসহ বাগান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে একাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি। ঘরের মধ্যে পানি প্রবেশ করায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে দরিদ্র অনেক পরিবার।

বুধবার সন্ধ্যায় বালিয়া গ্রামের মো. মুজিবুর রহমান গাজী ও হাবিবুর রহমান গাজী জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে জোয়ারের পানির চাপে কপোতাক্ষ নদের টিআরএমভুক্ত খালের সংযোগস্থলের বাঁধ ধসে যায়। এতে মুহূর্তের মধ্যে কপোতাক্ষ নদের লোনা পানি বিলের মধ্যে ও লোকালয়ে প্রবেশ করে। রাতেই গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছায় বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করে। কিন্তু জোয়ারের পানির চাপে বাঁধ আবার ধসে যায় এবং অনেক স্থানে বাঁধ উপচে পানি বিলে ও লোকালয়ে প্রবেশ করে। পানিতে খালপাড় সংলগ্ন হাবিবুর রহমান গাজী, আব্দুল্লাহ গাজী, সাইফুল্লাহ গাজী, কাছেদ মোড়ল,  জাহাঙ্গীর মোড়ল ও তোজাম মোড়লসহ শতাধিক ব্যক্তির বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।

তালা উপজেলার খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু জানান, জোয়ারের পলিবাহিত লোনা পানি বালিয়া, শুভংকরকাঠি ও শ্রীমন্তকাঠি গ্রামের সাড়ে ৫০০ বিঘার বিলে প্রবেশ করে। এতে জমির পাকা বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হওয়াসহ বিলের একাধিক মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। নদের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় শতাধিক ব্যক্তির বাড়ি-ঘর, পুকুর, বাগান, কবরস্থান ও রাস্তা প্লাবিত হয়ে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কেশবপুর অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী বালিয়া খাল দিয়ে পাখিমারা বিলে টিআরএম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বালিয়ায় কপোতাক্ষ নদের সংযোগ খাল দিয়ে টিআরএম বাস্তবায়নের জন্য খালের পাড়ে মজবুত করে বাঁধ  নির্মাণ করার সময় স্থানীয় আরশাদ আলী মোড়ল ও আলাউদ্দীন মোড়লসহ কয়েক জন বাধা দেয়। যে কারণে খাল পাড়ে মজবুত বাঁধ নির্মাণ না করায় জোয়ারের চাপে বাঁধ ধসে ও উপচে পানিতে বিল ও লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বাঁধ ধসে পড়ার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খাল রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/৩০ মার্চ ২০১৭/এম. শাহীন গোলদার/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়