ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ইফাদ ৯২ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই

শামিমা নাসরীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশ-ইফাদ ৯২ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি জেলার দুস্থ মানুষের অবকাঠামো ও বাজার উন্নয়নে ৯২ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।

ইতালির রোমে মঙ্গলবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ইফাদ সদর দপ্তরে এই চুক্তি সই হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম ও ইফাদ প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুয়াংবো চুক্তিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে সই করেন।

এ সময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি সই শেষে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬টি জেলার দুস্থ জনগণের অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন এবং তথ্যসংক্রান্ত একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও জামালপুর। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের কাজ এ বছর শুরু হবে। এতে এই জেলাগুলোর ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হবে।

শহিদুল হক বলেন, প্রকল্পের মূল ব্যয়ের ৬৩ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে ইফাদ দেবে। বাকি ২৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ সরকার দেবে।

পররাষ্ট্র সচিব আরো বলেন, আজ রোমে ইফাদ গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন দেশ ইফাদকে অর্থ দেওয়ার অঙ্গিকার করে।

তিনি বলেন, এই অর্থ ইফাদ অনুদান ও ঋণ হিসেবে ব্যবহার করবে। বৈঠকে চীন সর্বাধিক ৯০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বাংলাদেশ ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গিকার করে।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান শিকদারও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রকল্পটি এলজিআরডি মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আরেকটি প্রকল্প বাংলাদেশ ও ইফাদের মধ্যে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। ১১৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয়সম্বলিত প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বাস্তবায়ন করবে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে এ ব্যাপারে চুক্তি সই হয়নি। কারণ এ বিষয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, শিগগিরই এ প্রকল্পের ব্যাপারে চুক্তি সই হবে বলে আমরা আশাবাদী।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর আগে ইফাদ প্রেসিডেন্ট সংস্থার সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুও উঠে আসে।

শহিদুল হক বলেন, ইফাদ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এবং এদেশ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। কারণ তিনি দুবার বাংলাদেশ সফর করেছেন।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, ইফাদ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন এবং তার নেতৃত্বের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য সূত্র : বাসস

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/এসএন/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়