ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে’

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১৮ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য রাষ্ট্র পরিচালনায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। নির্ধারিত সময়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

সোমবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। 

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ; হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সরকারি দলের টিপু মুনশি, বেগম উম্মে রাজিয়া কাজল, মো. মোসলেম উদ্দিন, মৃনাল কান্তি দাস, আনোয়ারুল আবদীন খান ও হোসনে আরা বেগম আলোচনায় অংশ নেন।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিরোধী দল কিছু অসত্য বক্তব্য রেখেছে, অভিযোগ করে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, অর্থমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণেই দেশের সকল ব্যাংক এখনো সচল আছে। ব্যাংকগুলো যথাযথভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি আরো বলেন, ভ্যাট আদায়ে ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করলে আরো চার গুণ বেশি ভ্যাট আদায় সম্ভব হবে।

তিনি আয়কর বাহাদুর পুরস্কারের পরিবর্তে ভ্যাট বাহাদুর পুরস্কার ঘোষণার প্রস্তাব দেন।

সরকার সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে, উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থের উৎস অনুসন্ধান বন্ধ করতে হবে এবং ফ্ল্যাট ক্রয়ের টাকার ওপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে এই টাকা সাদা করার সুযোগ দিতে হবে।

তিনি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন কর বিদ্যমান ১৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান।

সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে বাজেটে গৃহ ঋণ বাবদ ৫০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের দাবি জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার ২৪৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশ ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০০৯ সালে ক্যাপটিভ পাওয়ার ছাড়া সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। বর্তমানে ১১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে। বর্তমানে ২৩ হাজার ৯৩ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন ৬৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছে। ১৫ হাজার ২০৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রায় ৫৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ৪ হাজার ৪৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন ২৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভারত থেকে প্রায় ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আগামী মাসে ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা যাবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করতে সঞ্চালন লাইন ৮ হাজার থেকে প্রায় ১১ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। ২০৪০ সালের মধ্যে ৩২ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করতে হবে।

ঢাকা শহরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সকল বিদ্যুৎ লাইন আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাবে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে একটি সিঙ্গেল নম্বর চালু করা হচ্ছে। সেখানে কল করে সারা দেশ থেকে বিদ্যুৎ সম্পর্কে যেকোনো সমস্যার কথা জানানো যাবে।

বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহযোগিতা করবে।

নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে, উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুন ২০১৮/আসাদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়