বাজেট দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে: ডিএসই
বিশেষ প্রতিবেদক: ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা হওয়ার পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অভিমত প্রকাশ করে বলেছে, এই বাজেট দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে।
বৃহস্পতিবার নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের পর ডিএসই থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিমত প্রকাশ করা হয়।
ডিএসই মনে করে, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের সংস্কারমূলক দিকনির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার জন্য সরকার বিশেষ গুরুত্বারোপ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আশা করে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে সব প্রস্তাব রাখা হয়েছে এতে পুঁজিবাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে, যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে।
এতে বলা হয়েছে, অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন। দেশের অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি, শিল্পোন্নয়ন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকারে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে বিশেষ করে ২০৪১ সালকে লক্ষ্য রেখে বাজেট প্রণয়ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ধন্যবাদ জানায়।
একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করায় ডিএসই আন্তরিক অভিনন্দন জানায়। টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার, পুঁজিবাজারের সুশাসন ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে যে সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রস্তাব করা হয়েছে, সে জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ অভিনন্দন জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের পুঁজিবাজারের সংস্কারমূলক দিকনির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে পুঁজিবাজারের জন্য দেয়া উল্লেযোগ্য প্রণোদনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে-
১. স্টক ডিভিডেন্ড-এর পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানকে উৎসাহিত করার জন্য কোনো কোম্পানি স্টক ডিভিডেন্ড প্রদান করলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ওই স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।
২. কোনো কোম্পানির কোনো আয় বছরে রিটেইনড আর্নিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তাহলে যতটুকু বেশি হবে তার ওপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান।
৩. পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকায় নির্ধারণের প্রস্তাব।
৪. নিবাসী ও অনিবাসী সব কোম্পানির ক্ষেত্রে ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর একাধিকবার করারোপ রোধ করার বিধান কার্যকর করার প্রস্তাব।
৫. পুঁজিবাজারে কোনো রুগ্ন কোম্পানিকে যদি কোনো আর্থিক দিক থেকে সব কোম্পানি আত্তীকরণ করতে চায় সেটা বিবেচনা করার প্রস্তাব।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ জুন ২০১৯/হাসনাত/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন