ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে...

আলী আকবর টুটুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ১৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে...

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় এক তরুণে বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে প্রকাশ্যে ওই তরুণের গোপনাঙ্গে ইট ঝুলিয়ে তাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও বাকীদের অজ্ঞাত উল্লেখ করে ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শরণখোলা থানার এসআই সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নির্যাতনের ছবি ছড়িয়ে পড়লে এলাকায়  তোলপাড় শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে মামলা করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলার মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের আ. রব হাওলাদের ছেলে রেজাউল করিম (২৫) ও পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের আবু হানিফ মুন্সীর ছেলে নূর হাসান মুন্সী (২২) নামে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের আলাউদ্দিন (৩৫) নামের এক তরুণের সঙ্গে  খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের ১৭ বছর বয়সী এক মেয়ের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এর সূত্র ধরে ওই মেয়ের আমন্ত্রণে গত ৯ এপ্রিল আলাউদ্দিন তাদের এলাকায় গিয়ে দেখা করে। পরে ফেরার সময় এলাকায় অপরিচিত হিসেবে আলাউদ্দিনকে আটক করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক এবং তারা ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনকে খবর দেন। তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় যুবকরা আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তার বিচার দাবি করেন।

চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁন ওই এলাকার শহিদের চায়ের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে আলাউদ্দিনের গোপনাঙ্গে ইট বেঁধে দাঁড় করিয়ে রেখে বর্বর নির্যাতন চালান। প্রায় আধাঘণ্টা পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মুক্তি মেলে আলাউদ্দিনের। পরে তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

বিচারের এই ছবি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয় এবং ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । বিভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুক স্ট্যাটাসে কমেন্টে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘বিচারের নামে এমন বর্বরতায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এ ঘটনায় অঙ্গহানির ঘটনা ঘটতে পারতো। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও হতে পারতো। ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খাঁনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের দুটি নম্বরই বন্ধ পাওয়া যায়।



রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/১৭ এপ্রিল ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/রুহুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়