বালিকা বিদ্যালয়ে চালু হলো ‘ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার’
পাবনা প্রতিনিধি : স্কুলে গিয়ে হঠাৎ পিরিয়ড শুরু হলে ছাত্রীদের পড়তে হয় বিপাকে। এবার সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পাবনায় প্রথমবারের মতো স্কুলে চালু হলো ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার।
শনিবার সকাল ১১টায় জেলার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার।
‘ডোনেট এ প্যাড ফর হাইজিন বাংলাদেশ’ ও ‘বজ্রমুষ্টি ফাউন্ডেশন’ এর যৌথ উদ্যোগে এই ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার স্থাপন করা হয়। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সুধীজনেরা।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চাটমোহর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার গোলাম মোস্তফা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন, পৌর কাউন্সিল নুর ই হাসান খান ময়না ও ইন্টার্ন চিকিৎসক লাবণী পাল।
অনুষ্ঠানে পিরিয়ড ও বয়ঃসন্ধিকাল সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধান বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়। পরে স্কুল চত্বরে গাছের চারা রোপন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ‘ডোনেট এ প্যাড ফর হাইজিন বাংলাদেশ’র প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মার্জিয়া প্রভা।
উদ্যোক্তারা জানান, স্কুলে গিয়ে হঠাৎ পিরিয়ড শুরু হলে বিপাকে পড়ে ছাত্রীরা। তারা সহপাঠী ও শিক্ষককে বলতে সংকোচ বোধ করে। এখন থেকে স্কুলের নির্ধারিত স্থানে থাকবে ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার। সেখান থেকে সহজে ছাত্রীরা প্যাড ব্যবহার করে সেই সমস্যা থেকে রেহাই পাবে। আর ছাত্রীরা প্যাড কর্ণারে ৫ টাকা করে রাখবে। জমানো টাকা দিয়ে পরবর্তীতে যাতে তারা নিজেরাই প্যাড কিনে রাখতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর বেশ কয়েকজন ছাত্রী জানান, স্কুলে এসে হঠাৎ করে যদি পিরিয়ড শুরু হয় তখন বিপাকে পড়তে হয়। কাউকে জানাতে লজ্জা ও সংকোচবোধ হয়। অস্বস্তি লাগে। স্কুলের টয়লেট বা বাথরুমের পাশে স্থাপন করা এই প্যাড কর্ণার তাদের উপকারে আসবে। এখন আর লজ্জা বা সংকোচ হওয়ার ভয় নেই। প্যাড কর্ণার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছাত্রীরা।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলী জানান, নি:সন্দেহে এটি ভালো উদ্যোগ। এমন সৃজনশীল চিন্তা তাদের মাথায় আসেনি। তারা উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এই ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার প্রতিটি স্কুল-কলেজে চালু হওয়া উচিত। তাহলে মেয়েরা অন্তত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পিরিয়ডের সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকবে।’’
রাইজিংবিডি/পাবনা/১১ আগস্ট ২০১৮/শাহীন রহমান/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন