ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিজ্ঞান গবেষণা ও বাংলাদেশ || মুহম্মদ জাফর ইকবাল

মুহম্মদ জাফর ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:১২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিজ্ঞান গবেষণা ও বাংলাদেশ || মুহম্মদ জাফর ইকবাল

গত সপ্তাহটি আমার জন্য খুবই আনন্দের একটি সপ্তাহ ছিল। এক সপ্তাহে বাংলাদেশের ল্যাবরেটরিতে করা তিনটি সফল গবেষণার খবর দেশের মানুষ জানতে পেরেছে। প্রথমটি অবশ্য আমি আগে থেকেই জানি, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-পদার্থবিজ্ঞানের অত্যন্ত বিশেষ একটি প্রক্রিয়া ক্যান্সার রোগীদের রক্তে প্রয়োগ করে সেখানে আলাদা এক ধরনের সংকেত পাওয়া। অন্য দুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা। দুই জায়গাতেই ইলিশ মাছের জিনোম বের করা হয়েছে। আমাদের ইলিশ মাছের জিনোম যদি আমরা বের না করি, তাহলে কে বের করবে?

আমার মনে আছে, ২০১০ সালে আমার প্রিয় একজন মানুষ মাকসুদুল আলম পাটের জিনোম বের করেছিলেন। আমরা আগেই খবর পেয়েছি, পরের দিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে এর ঘোষণা দেবেন। কিন্তু আমাদের দেশের খবরের কাগজগুলো কি খবরটি ঠিক করে ছাপাবে? আমার মনে আছে, এর আগের দিন আমরা দেশের সব খবরের কাগজের সম্পাদকদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বলেছি, ‘আগামীকাল সংসদে বিজ্ঞানের অনেক বড় একটি খবর ঘোষণা করা হবে। আপনারা প্লিজ, খবরের কাগজের প্রথম পৃষ্ঠায় খবরটি বড় করে ছাপাবেন।’ খবরের কাগজগুলো আমাদের অনুরোধ রেখেছিল, সব খবরের কাগজ বড় বড় করে খবরটি ছাপিয়েছিল। দেশের বাইরে থেকে দেশে গবেষণার জন্য মাকসুদুল আলম অনেক চেষ্টা করতেন; হঠাৎ করে সবাইকে ছেড়ে একদিন চলে গেলেন।

আমাদের দেশের অনেকের ধারণা, এ দেশে বুঝি বিজ্ঞানের বড় গবেষণা হতে পারে না। সেজন্য জুট জিনোমের খবরটি আমরা অনেক বড় করে সবাইকে জানাতে চেয়েছিলাম। গত সপ্তাহে একইভাবে তিনটি বড় গবেষণার খবর এসেছে। যারা নিজের দেশের বিজ্ঞানীদের ওপর বিশ্বাস রাখে না তারা নিশ্চয়ই এবার নতুন করে ভাববে। আমি যতটুকু জানি, আরো কিছুদিনের ভেতর পেটেন্টের আরো কিছু খবর আসবে। পেটেন্টের জন্য আবেদন করার আগে যেহেতু কোনো তথ্য জানাতে হয় না, তাই আমরা এ মুহূর্তে সেই গবেষণাগুলোর খবর সম্পর্কে এখনো কিছু জানতে পারছি না।

পেটেন্টের বিষয়টি সবাই ঠিকভাবে জানে কি না, আমার জানা নেই। এটি হচ্ছে আবিষ্কারের স্বত্ব রক্ষা করার পদ্ধতি। পৃথিবীর যেকোনো মানুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, রেডিও কে আবিষ্কার করেছে? সেই মানুষটি মার্কোনির নাম বলবে। আমিও ছোটবেলায় তাঁর নাম মুখস্থ করে এসেছি। অথচ বিজ্ঞানজগতের ইতিহাস যদি বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে, আমাদের বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও প্রযুক্তির খুঁটিনাটি মার্কোনির সমসাময়িককালে আবিষ্কার করেছিলেন। জগদীশচন্দ্র বসু কিছুতেই তাঁর আবিষ্কার পেটেন্ট করতে রাজি হননি (এ ব্যাপারে তাঁর একটি চমৎকার চিঠি আছে। তিনি কতটা নির্লোভ মানুষ এবং জ্ঞানের ব্যাপারে কতটা উদার, সে চিঠি পড়লে বোঝা যায়)। মার্কোনি তাঁর উল্টো। প্রথম সুযোগে তিনি তাঁর কাজ পেটেন্ট করে ফেলেছিলেন। সেজন্য সারা পৃথিবী রেডিওর আবিষ্কারক হিসেবে মার্কোনির নাম জানে, জগদীশচন্দ্র বসুর কথা কেউ জানে না (তবে অতি সাম্প্রতিককালে জগদীশচন্দ্র বসুকে ইতিহাসে তাঁর যোগ্য স্থান দেওয়ার জন্য অনেক কাজ শুরু হয়েছে)।

পেটেন্ট করা হয় একটি আবিষ্কারের স্বত্বকে রক্ষা করার জন্য। কাজেই পেটেন্টটি কোন দেশে করা হচ্ছে, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট সম্পর্কে আমার অল্প কিছু ধারণা আছে। আমি যখন বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে যোগ দিই, একেবারে প্রথম দিনেই সেই ল্যাবরেটরি আমার সব মেধাস্বত্ব এক ডলার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিনে নিয়েছিল। হ্যাঁ, লিখতে ভুল হয়নি; পরিমাণটা এক ডলার। আমাকে দেওয়ার জন্য তারা নতুন ঝকঝকে একটি এক ডলারের নোট নিয়ে এসেছিল।

বেল কমিউনিকেশনস ল্যাবরেটরিতে থাকার সময় আমরা যে বিষয় নিয়ে কাজ করেছি, সেগুলো নিয়ে গোটা তিনেক পেটেন্ট হয়েছে। তবে তার কোনোটিরই মেধাস্বত্ব আমার নিজের না, ল্যাবরেটরি প্রথম দিনই এক ডলার দিয়ে কিনে রেখেছে! মজার ব্যাপার হলো, যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্ট করতে অনেক টাকা লাগে। পরিমাণটা ১০০ হাজার ডলারও হতে পারে! যার আবিষ্কার পেটেন্ট হয়েছে, সে চাইলে তাকে খুব সুন্দর করে ফ্রেম করে পেটেন্টের একটি কপি তৈরি করে দেয়, তার বেশি কিছু নয়!

তবে পেটেন্ট নিয়ে আমার একটি মজার স্মৃতি আছে। আমি যখন বেল কমিউনিকেশনস ল্যাবরেটরিতে ফাইবার অপটিক সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি তখন ইতালি থেকে একজন বিজ্ঞানী আমার সঙ্গে কাজ করতে এসেছেন। আমি একটি এক্সপেরিমেন্ট করছি। এক্সপেরিমেন্টটি ঠিক করে করার জন্য আমি সেখানে দুটি অপটিক্যাল আইসোলেটর নামে ডিভাইস লাগিয়েছি। ইতালির বিজ্ঞানী আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি ওই দুটি কেন লাগিয়েছ?’ আমি তাঁকে কারণটি ব্যাখ্যা করে বললাম, আমাদের এক্সপেরিমেন্টে এগুলো সব সময় ব্যবহার করতে হয়।

ইতালির বিজ্ঞানীর চোখ চকচক করে উঠল! তিনি বললেন, ‘বিষয়টি পেটেন্ট করে ফেলি!’ আমি অবাক হয়ে তাঁর মুখের দিকে তাকালাম। তিনি নতুন এসেছেন বলে জানেন না, আমরা যারা এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করে আসছি তারা জানি বিষয়টি একটি কমন সেন্স ছাড়া কিছু না।

আমি বললাম, ‘তুমি এটি পেটেন্ট করতে চাও? এটি হচ্ছে ‘সদা সত্য কথা বলিবে’র মতো একটি কমন সেন্স। কেউ কখনো ১০০ হাজার ডলার খরচ করে ‘সদা সত্য কথা বলিবে’কে পেটেন্ট করে?’

ইতালীয় বিজ্ঞানী পিরেলি নামে অনেক বড় একটি কম্পানি থেকে এসেছেন। তাঁদের টাকার অভাব নেই। তিনি আমার কথায় বিচলিত হলেন না, আমাকে জানালেন, তিনি আসলেই এটি পেটেন্ট করে ফেলবেন!

বলাই বাহুল্য, আমি তাঁর ছেলেমানুষি কাজকর্ম দেখে খুবই হতাশ! তাঁকে বললাম, ‘তোমার যা ইচ্ছা হয় করো! আমি এর মধ্যে নেই।’

বিজ্ঞানী মানুষটি শেষ পর্যন্ত কী করেছেন আমি তা নিয়ে মাথা ঘামালাম না।

এরপর কয়েক বছর কেটে গেছে। আমি দেশে চলে এসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের জীবনের সঙ্গে আর বিশেষ সম্পর্ক নেই।

তখন হঠাৎ একদিন আমি আমার সাবেক বসের কাছ থেকে একটি টেলিফোন পেলাম। বেচারা প্রায় পাগলের মতো আমাকে ফোন করেছেন। চিৎকার করে বললেন, ‘তুমি জানো, এখানে কী হয়েছে?’

আমি বললাম, ‘কী হয়েছে?’
‘মনে আছে, তোমার সঙ্গে ইতালির একজন বিজ্ঞানী কাজ করেছিল?’
আমি বললাম, ‘মনে আছে।’

‘সে অপটিক্যাল আইসোলেটর ব্যবহার করার বিষয়টি পেটেন্ট করে ফেলেছে। এখন আমরা আর এক্সপেরিমেন্ট করতে পারি না। সেই কম্পানি আমাদের কাছে লাইসেন্সিং ফি চায়!’

আমি শুনে হাসব না কাঁদব, বুঝতে পারি না। আমার কাছে ব্যাপারটি অনেকটা এ রকম, ‘সদা সত্য কথা বলিবে’ বিষয়টি কেউ পেটেন্ট করে ফেলেছে, এখন সত্যি কথা বললেই তাকে টাকা দিতে হচ্ছে!

যা হোক, আমার বস আমাকে অনুরোধ করলেন, আমার সব ল্যাবরেটরি নোটবুক যেন ফটোকপি করে তাঁর কাছে পাঠাই। এগুলো দেখিয়ে তারা দাবি করবে, যেহেতু গবেষণার কাজে আমারও অবদান আছে, অন্তত আমাদের কাছে যেন লাইসেন্সের ফি দাবি না করে।

আমি সব কাগজপত্র পাঠিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল আমার জানা নেই।

আমাদের দেশের জন্য পেটেন্ট বিষয়টি নতুন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার যে বিষয়টির জন্য পেটেন্টের আবেদন করা হয়েছে, আমার জানামতে এটি এ দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক পেটেন্ট। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বড় কর্মকর্তার নিজের মুখে শুনেও আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে এর আগে এ দেশ থেকে পেটেন্টের আবেদন করা হয়নি। পেটেন্ট আসলে এক ধরনের সম্পদ। সব পেটেন্টই যে বড় সম্পদ তার কোনো গ্যারান্টি নেই। কিন্তু কোনো আবিষ্কার যদি হঠাৎ করে বড় কোনো কাজে লেগে যায় তখন সেটি অনেক বড় সম্পদ হতে পারে। নতুন পৃথিবীটিতে জ্ঞান হচ্ছে সম্পদ এবং সেই সম্পদের পরিমাপ করা হয় পেটেন্ট দিয়ে। আমাদের দেশের বিজ্ঞানীদের যেহেতু গবেষণা করার ক্ষমতা আছে, তারা তাদের আবিষ্কারগুলো পেটেন্ট করে দেশের জন্য সম্পদ সৃষ্টি করবে, সেটি তো আমরা আশা করতেই পারি। ঘটনাটি এ দেশে আগে ঘটেনি, এই প্রথমবার শুরু হলো।

বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, তা একেকজন একেকভাবে অনুভব করে। আমি সেটি অনুভব করি এ দেশে বিজ্ঞানের গবেষণার বিষয়টি দিয়ে। গবেষণা কিন্তু খরচসাপেক্ষ। সব গবেষণা যে সফল হয়, তা-ও নয়। অনেক গবেষণারই ফলাফল হয় শূন্য; কিন্তু তার পরও গবেষণায় লেগে থাকতে হয়।

গবেষণার পরিমাপের সবচেয়ে নিখুঁত সূচক হচ্ছে পিএইচডি শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আমার মনে আছে, বেশ কয়েক বছর আগে আমরা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়েই পিএইচডি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল বারো শর থেকে বেশি। অথচ আমাদের সারা দেশ মিলিয়েও সংখ্যাটি তার ধারেকাছে নয়। আমার মনে আছে, ফিরে এসে আমি পত্রিকায় একটি লেখা লিখেছিলাম যে এক হাজার পিএইচডি চাই। আমার সেই লেখা পড়ে কেউ কেউ পিএইচডি নিয়ে অনেক নেতিবাচক কথা লিখেছিলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, কানাডাপ্রবাসী একজন সাবেক কূটনীতিক একজনের পিএইচডি গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের একটি চেক আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এদিক দিয়ে আমি খুবই সৌভাগ্যবান। সারাটি জীবনই আমি চমৎকার হৃদয়বান মানুষের দেখা পেয়েছি।

আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনো মূলত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ আমরা ছেলে-মেয়েদের পড়িয়ে একটি ব্যাচেলর ডিগ্রি দিই। সোজা বাংলায় জ্ঞান বিতরণ করি। শুধু জ্ঞান বিতরণ করা হলে কিন্তু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে না। সত্যিকারের বিশ্ববিদ্যালয় হতে হলে তাকে জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়। জ্ঞান সৃষ্টি করার জন্য গবেষণা করতে হয় এবং গবেষণা করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে পিএইচডি প্রগ্রাম। কারণ পিএইচডি করার সময় শিক্ষার্থীরা টানা কয়েক বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে সময় দেয়।

একটা সময় ছিল, যখন পিএইচডি শিক্ষার্থীদের কোনো স্কলারশিপ দেওয়ার উপায় ছিল না। যদিও বা দেওয়া হতো, তার পরিমাণ এত কম ছিল যে কোনো শিক্ষার্থীর যদি নিজের আলাদা উপার্জন না থাকত, তার পক্ষে পিএইচডি গবেষণা করার কোনো উপায় ছিল না।

কয়েক বছর থেকে আমি লক্ষ করছি যে পিএইচডি গবেষণার জন্য স্কলারশিপ বাড়ছে এবং সেটি মোটামুটি একটি সম্মানজনক পরিমাণে পৌঁছে গেছে। আমার কাছে মনে হয়, দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তার একটি বড় প্রমাণ। আমরা গবেষণার জন্য টাকা খরচ করতে প্রস্তুত হয়েছি।

তবে এখনো কিছু বিষয় নিষ্পত্তি হয়নি। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা এখনো নিজ দেশে পিএইচডি করার বিষয়টি অন্তর থেকে গ্রহণ করেনি। এ দেশের বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী পিএইচডি করার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। একবার দেশের বাইরে গেলে তাদের খুব ছোট একটি অংশ দেশে ফিরে আসছে। আমরা যদি আমাদের দেশের ল্যাবরেটরিতে সত্যিকারের গবেষণা করতে পারি, তাহলে হয়তো এই নতুন প্রজন্মকে বোঝানো সম্ভব হবে, দেশেও সত্যিকারের গবেষণা করা সম্ভব। যারা দেশ ছেড়ে গিয়ে দেশের কথা স্মরণ করে লম্বা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলছে, তাদের কাউকে কাউকে হয়তো তখন দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। যেদিন আমরা আবিষ্কার করব, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে গিয়ে তাদের লেখাপড়া-গবেষণা শেষ করে আবার দেশে ফিরে আসতে শুরু করেছে, সেদিন বুঝতে পারব যে আমাদের দেশটি এবার সত্যি সত্যি নিজের পায়ের ওপর দাঁড়াতে শুরু করেছে। অনেক আশা নিয়ে সেই দিনগুলোর জন্য অপেক্ষা করে আছি।

লেখক : অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়