ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেব না : মওদুদ

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ১৪ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেব না : মওদুদ

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ ছেড়ে না দেওয়ার কথা জানিয়ে দ্রুত প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‌্য ব‌্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।   

ব‌্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আড়াই মাসের মধ্যে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে যে, আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচন হতে দেব না। বিনা চ্যালেঞ্জে নির্বাচন ছেড়েও দেব না। একদলীয় নির্বাচনের ষড়যন্ত্র কৌশল সফল হতেও দেব না।

‘প্রতিবাদ করার সময় এসেছে। যথাসময়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। আমাদের মাঠে নামার প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশি-বিদেশি বন্ধুমহল অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা যে যাই বলুক বিএনপিকে ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। একমাত্র বিএনপির অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে’, বলেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে প্রথম শর্ত খালেদা জিয়ার মুক্তি। দ্বিতীয়ত সংসদ ভেঙে দিতে হবে, তৃতীয়ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে এবং চতুর্থ হচ্ছে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ‘জিয়া আর্দশ একাডেমি’ নামের একটি সংগঠন।

বিএনপি জাতীয় ঐক‌্য সৃষ্টি করতে কাজ করছে, জানিয়ে দলটির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, জাতীয় পর্যায়ে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় সৃষ্টি করে ঐক্যমত্যে আসার জন্য। কারণ, ফ্যাসিবাদী সরকারকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উৎখাত করা সম্ভব হবে না, তাই জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে মাঠে নামতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।’

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন অযোগ্য, অদক্ষ। এরা সরকারের স্বার্থরক্ষায় গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রমাণ করছেন, এরা সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যর্থ।’

আগামীতে তিনটি স্থানীয় নির্বাচনের ওপর জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে তা নির্ভর করছে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।

সংগঠনের সভাপতি মো. আজম খানের সভাপতিত্বে এবং ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনে’র সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চলনায় আরো বক্তব‌্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, সহ-তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ও ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জুলাই ২০১৮/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়