ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বিবাহ বার্ষিকী রাঙিয়ে তুলুন

ঝুমকি বসু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০০, ১৪ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিবাহ বার্ষিকী রাঙিয়ে তুলুন

প্রতীকী ছবি

ঝুমকি বসু : কিছু কিছু দিন মনের খাতায় লেখা হয়ে যায় আজীবনের জন্য। ঠিক তেমন একটা দিন- বিয়ের দিনটা। বিবাহিত দম্পতিদের ক্যালেন্ডারের পাতায় জ্বলজ্বল করে এই দিন।

রাজিব আর নিতুর বিয়ে হয়েছে এক বছর, এবার ওদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। কিন্তু প্রথম বছর এই দিনটাকে কীভাবে আরো রঙিন করা যায়, তা নিয়ে ওদের চিন্তার শেষ নেই। কিংবা রহমান ভাই এবং নীলা ভাবির কথাই ধরুন না... ১০ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেও এই দিনটাতে কেমন ভাবে নতুনত্ব আনা যায় তা নিয়ে প্রতিবছরই ভাবনায় পড়ে যান দুজনেই।

নতুন বা পুরোনো- আপনি যেমন দম্পতিই হন না কেন, এই বিশেষ দিনটাকে আরো স্মরণীয় করতে একটা গাইডলাইন পেলে কিন্তু মন্দ হয় না। তাই আজ চলুন বিবাহ বার্ষিকীর একটা গাইডলাইন তৈরি করা যাক।

* আপনার যদি প্রথম বিবাহ বার্ষিকী হয়ে থাকে, তাহলে এই দিনটা একটু জাঁকজমক ভাবে পালন করতে পারেন, আত্বীয়-স্বজন আর বন্ধুদেরকে দাওয়াত করতে পারেন কোনো রেস্তরাঁয়। একটা ব্যতিক্রমী কেক কেটে দিনটাকে উদযাপন করুন। সঙ্গীকে দিন উপহার, হতে পারে তা পারফিউম, ফুল, বই, পোশাক, ঘড়ি বা অন্য কোনো পছন্দের জিনিস।

* যদি আপনার বিবাহিত জীবন ৩-৪ বছরের হয়ে থাকে তাহলে একটু অন্য ভাবে পালন করতে পারেন। খুব কাছের বন্ধুদের বাসায় ডাকুন, দুজন মিলে রান্না করুন। আবার বন্ধুদের একসঙ্গে বাইরে নিয়ে হই-হুল্লর, ফুচকা, চটপটি আর আড্ডাবাজি দিনটাকে অন্য মাত্রা দেবে। তবে বন্ধুরা যেন দুজনেরই হয়, তা না হলে কিন্তু জমবে না।

* বিয়ের বয়স যদি হয় ১০-১৫ বছর, দাম্পত্যের রং একটু ফিকে হতেই পারে, আসতেই পারে একঘেয়েমি। জীবনের রংটাকে উজ্জ্বল করতে তাই বেছে নিন এই দিনকেই। শুধুই দিনটা হোক দুজনের। একসঙ্গে বিয়ের অ্যালবাম বা ভিডিও দেখুন। বিকেলে যেতে পারেন পছন্দের কোনো সিনেমা দেখতে। রিকশায় অবান্তর ঘুরতে পারেন, তারপর রাতের খাবারটা খেয়ে ফেলুন কোন রেস্তোরাঁয়। দেখবেন দিনটা একদম মনে রাখার মতোই হবে।

* যেকোনো বিবাহ বার্ষিকীতে ২-৩ দিনের পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন পছন্দের কোনো জায়গায়। সেটা দেশের বাইরেই হতে হবে এমন কোনো মানে নেই, যেতে পারেন দেশের মধ্যেই কোথাও। এমনকি শুধু ওইদিনের জন্য কাছে কোথাও একদিনের ট্যুরের কথাও ভাবতে পারেন। 

প্রতিদিনের এই কর্মব্যস্ত জীবনে এক ছাদের নিচে এতো কাছাকাছি বাস করেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সারাদিন দেখা বা কথাও হয় না। বাসায় আসার পরও সময় ছুটে চলে। তাই অন্তত বিবাহ বার্ষিকীর দিনটাতে নিজেরা খুব কাছাকাছি থাকুন। দুজন দুজনকে নিয়ে ভাবুন। এই একটা দিনের অক্সিজেন দিয়ে হয়তো আপনি সারাবছর চলতে পারবেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়