বিমানে ত্রুটির মামলায় ২ আসামি কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির ঘটনায় করা মামলায় বাংলাদেশ বিমানের দুই কর্মকর্তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ইন্সপেক্টর মাহবুবুল আলম দু’দফা রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্র করে বিমানে ইচ্ছাকৃতভাবে যান্ত্রিক ত্রুটি করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ছিল বলে প্রতীয়মান হয়। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদেও আসামিরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। এমন অবস্থায় আসামিদের জামিন নামঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাযহারুল হক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক এবং জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহআলম।
এর আগে এই দুই আসামির গত ১৮ জানুয়ারি পাঁচ দিন এবং ১০ জানুয়ারি সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে এই মামলার নয় আসামি দু’দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন। এরা হলেন- বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে (বোয়িং-৭৭৭) যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে তুর্কমেনিস্তানে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। অন্য একটি উড়োজাহাজ পাঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বুদাপেস্টে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরবর্তী সময়ে ত্রুটি সারিয়ে ওই উড়োজাহাজেই হাঙ্গেরি যান প্রধানমন্ত্রী। ওই ঘটনায় দু’দফায় বর্তমান মামলার এই ৯ আসামিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ওই ঘটনায় গত ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানের ৯ কর্মকর্তাকে আসামি করে বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এম এম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১০৯, ১১৮, ১২০ (খ), ২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় মামলাটি করা হয়।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জানুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন