‘বিশ্ব এখন বিস্ময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে আছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের গৃহিত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে বাঙালি জাতির মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। গোটা বিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা অনুযায়ী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মর্যাদাশালী রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএসইসি ভবন চত্ত্বরে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিম, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আনিস-উল-হক ভূঁইয়া, বিএসইসির পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান সিরাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ, শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগ, কল-কারখানা চালু এবং শ্রমিক নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি করতে তিনি যখন দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘পনের আগস্টের হত্যাকাণ্ড কোনো ব্যক্তি বা পারিবারকেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড ছিল না। এটি ছিল একাত্তরের পরাজিত শক্তির প্রতিহিংসামূলক প্রতিবিপ্লব। এ হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী আড়াই মাসের মাথায় জাতীয় চার নেতা হত্যা, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচাররোধ, সংবিধান থেকে জাতীয় চার মূলনীতি ছেঁটে ফেলার মত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডই এর প্রমাণ দেয়।’
ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শ্রমিক কর্মচারি ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য স্বাধীনতার পর শিল্প কারখানা জাতীয়করণ করেছিলেন। তাঁর আদর্শকে সত্যিকার অর্থে হৃদয়ে ধারণ করে থাকলে এসব শিল্প কারখানা লাভজনক করতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ আগস্ট ২০১৮/নাসির/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন