ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৫ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রের সব নাগরিকেরই ভোক্তা হিসেবে রয়েছে তার ‘ভোক্তা অধিকার’। কিন্তু ভোক্তার অধিকার কি, তা জানে না ভোক্তাই। প্রতারিত হলে কি করতে হবে, কোথায় যেতে হবে- এসব ভোক্তাদের জানা উচিত।

অর্থনীতির ভাষায় রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকই ভোক্তা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ভোক্তার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত-যিনি সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে বা সম্পূর্ণ বাকিতে পণ্য অথবা সেবা ক্রয় করেন; আংশিক মূল্য পরিশোধ করে বা আংশিক বাকিতে পণ্য অথবা সেবা ক্রয় করেন; কিস্তিতে পণ্য অথবা সেবা ক্রয় করেন।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভোক্তার অধিকার সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে। ভোক্তার অধিকার হচ্ছে-‘নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়া, কোনো পণ্য বা সেবা ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া, ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভ, লিখিত অভিযোগ দায়ের করা। পণ্যের উপাদান, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ইত্যাদি সম্পর্কে জানা। নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য প্রদান না করা, পণ্য যথাযথ ওজন বা পরিমাপে পাওয়া, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে পাওয়া।’

আজ বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস।  ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ১৫ মার্চ দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ’।

প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

প্রদত্ত বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে। ভোক্তা সাধারণের অভিযোগ গ্রহণ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যে কোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। তাই দেশের আপামর জনসাধারণের অধিকার রক্ষায় বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। পণ্য ও সেবার মান নিশ্চিতকরণে এ অধিদপ্তর আগামীতে আরো বেশি তৎপর হবে।’

প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের’ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিষ্ঠার সাথে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে উল্লেখ করেন, ‘আমাদের সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে যা দেশের ভোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। আমরা ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিয়েছি। ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা আনয়ন ও তার স্থায়িত্বদানে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।’

দিবসটি উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূল্যে গুনগত মানসম্পন্ন নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে ভলান্টরি কনজ্যুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা)।

দেশে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে নিবেদিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন-ভোক্তা বলছে, দেশে ডিজিটাল বাজার ব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণের পূর্বশর্ত হলো সাশ্রয়ী মূল্যে গুনগত মানসম্পন্ন নিরাপদ ইন্টারনেট সেবা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মার্চ ২০১৮/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়