ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিসিকের প্রচেষ্টায় বৃহৎ শিল্পের ভিত শক্তিশালী হয়েছে

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ২ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিসিকের প্রচেষ্টায় বৃহৎ শিল্পের ভিত শক্তিশালী হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।  বিসিকের প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশব্যাপী বৃহৎ শিল্পের ভিত শক্তিশালী হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৫৭ সালে বাঙালি শিল্প উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন গঠন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে ওই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) নাম ধারণ করে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন কার্যক্রম গতিশীল করতে অনন্য ভূমিকা রেখে আসছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিসিকের নতুন বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

বিসিক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মুহঃ ইফতিখারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন মাহমুদ ও বিসিকের বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল হক প্রমুখ।

আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই ও গুণগত শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে বিসিক শুরু থেকেই সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। হস্ত ও কুটির শিল্পখাতে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসএমই শিল্পখাতকেও বিসিক কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিসিক এখন লবণ ও মধু উৎপাদনের মতো কৃষিভিত্তিক শিল্পের প্রসারেও ভূমিকা রাখছে। বিসিকের সহায়তায় দেশে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প এবং প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কুটির শিল্প রয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশে ইতিমধ্যে প্রায় ১০ লাখ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য শিল্পখাতের কার্যকর বিকাশ জরুরি। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে অবদান রেখে চলেছে। এর ফলে জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এলাকাভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা বিবেচনা করে শিল্প ক্লাস্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিল্পগুলোকে এক জায়গায় কেন্দ্রিভূত করার লক্ষ্যে খাতভিত্তিক শিল্পপার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। হালকা প্রকৌশল, কেমিক্যাল, প্লাস্টিক, ওষুধ, মুদ্রণ, অটোমোবাইল শিল্পের জন্য পৃথক শিল্পনগরী স্থাপনের কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বিসিকের নিজস্ব জায়গায় এ বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ৬২ কোটি টাকা। ১২ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের আয়তন হবে ১ লাখ ৫৭ হাজার বর্গ ফুট। ২০১৯ সালের জুন মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এটি নির্মিত হলে, উদ্যোক্তাদের সেবাদানের ক্ষেত্রে বিসিক এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এর ফলে দেশব্যাপী গুণগত শিল্পায়ন কার্যক্রম জোরদার হবে বলেও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ আগস্ট ২০১৮/নাসির/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়