ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দু’কান কাটলেন স্ত্রী

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১১, ১৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দু’কান কাটলেন স্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাঝেমধ্যেই অত্যাচার সইতো হতো। কিন্তু প্রায় দ্বিগুণ বয়সের স্ত্রী যে এতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নারকেলডাঙা নর্থ রোডের বছর কুড়ির যুবক মহম্মদ তনভীর। বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর দু’টি কানই কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রী মুমতাজ বিবির বিরুদ্ধে। মুমতাজের সঙ্গে তার বোনেরাও এ কাজে সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ তনভীরের। কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছেন তনভীর। পরে এলাকার বাসিন্দারা তাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান। নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত মুমতাজ বিবি ও তার বোনেদের খুঁজছে পুলিশ।

তনভীর মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, বছর দুয়েক আগে বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী প্রচণ্ড অত্যাচার করতেন। সেই ভয়ে প্রায়ই বাড়ি ছেড়ে এদিক সেদিক পালিয়ে যেতেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই নিজের বাপের বাড়ির লোকজন দিয়ে তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসতেন স্ত্রী মুমতাজ। চলত মারধর। সোমবার রাতেও মল্লিকপুরে পালিয়ে গিয়েছিলেন তনভীর। কিন্তু সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন মুমতাজ ও তার বোনেরা। তনভীর আরও অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার ভোরে মুমতাজ ও তার বোনেরা প্রচণ্ড মারধর করে। তারপর সবাই মিলে তাকে চেপে বুকে বন্দুক ধরে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’টি কানই কেটে নেওয়া হয়।

তনভীর বলেন, ‘স্ত্রী ও শ্যালিকারা ভেবেছিলেন, আমি  মারা গিয়েছি। তাই ওই ভাবে ফেলে রেখেছিল। তার পর সুযোগ পেয়ে কোনওরকমে বাইরে বেরিয়ে আসি। এলাকার লোকজন আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান।’

তনভীরের বাড়ি নারকেলডাঙা নর্থ রোডের কসাই বস্তি সেকেন্ড লেনে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে মুমতাজের বাড়িতেই থাকতেন তিনি।

তনভীরের অভিযোগ, ‘এই অত্যাচারের কারণে আমার মা মুমতাজকে বলেছিলেন আমাকে ছেড়ে দিতে। এতে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়ে আমাদের একটি বাড়ি বিক্রি করে টাকাও নিয়ে নেন মুমতাজ। কিন্তু আমাকে ছাড়েননি। উল্টে আমার বাড়িতে যেতে বা পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না।’

কিন্তু তার থেকে প্রায় বছর কুড়ির বড় মুমতাজকে কেন বিয়ে করলেন তনভীর। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, বড় ভাইয়ের এক বন্ধু তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিলেন। তাই বাধ্য হয়ে মুমতাজকে বিয়ে করতে হয়েছিল।

এদিকে নারকেলডাঙা থানার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন তনভীরের পরিবারের লোকজন। তাদের দাবি, থানায় অভিযোগ জানালেও এফআইআর-এর কপি দেয়নি পুলিশ। কাউকে গ্রেফতারের চেষ্টাও করা হচ্ছে না। এই সব অভিযোগ নিয়ে রাতে ফের নারকেলডাঙা থানায় যান তনভীরের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সূত্র : আনন্দবাজার



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ জুলাই ২০১৮/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়