ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ১১ দফা দাবি পেশ

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১৮ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ১১ দফা দাবি পেশ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : এমপিভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইমস্কেল প্রদান, ননএমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণসহ ১১ দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের নেতারা।

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট নেতা ও সাতক্ষীরা জেলা বাকশিস সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রহমান।

তিনি বলেন, সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের বেতন বৈষম্য ছাড়াও সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে সরকার। তাদের বেতন বৃদ্ধি নেই, উৎসব ভাতায় বৈষম্য, বৈশাখী ভাতা নেই, পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ভাতা নেই, বাড়িভাড়া নেই, এমনকি পূর্ণাঙ্গ পেনশনও নেই।

অধ্যক্ষ আবদুর রহমান বলেছেন, দেশের পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী যারা বিরতিহীনভাবে শিক্ষার কারিগর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা এমন বৈষম্যের শিকার হয়ে আছেন।

তিনি বলেছেন, এমন সব বৈষম্যের মধ্যেও সরকার ঘোষণা দিয়েছে, চলতি জুলাই থেকে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর ভাতা ববাদ বেতন থেকে শতকরা ১০ টাকা করে কর্তন করা হবে। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অচিরে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের রুটি-রুজির ওপর আঘাত পড়বে।

তিনি বলেছেন, কল্যাণ ভাতা ও অবসর ভাতার টাকা প্রাপ্তির জন্য অবসরে যাওয়া ৭০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী তালিকাভুক্ত হয়ে আছেন। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেছেন, এখন এই ভাতা পেতে কমপক্ষে সাড়ে চার বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ে ১১টি সংগঠন নিয়ে গঠিত জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট নেতা অধ্যক্ষ আবদুর রহমান বলেছেন, তারা এ সকল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। পরে শিক্ষকদের ১১ দফা দাবি তুলে ধরেছেন তিনি।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অনুপাত প্রথা ব্যাতিরিকে শিক্ষকদের পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, ননএমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণ, কর্মচারীদের চাকরিবিধি প্রণয়ন, ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সভাপতি করে বিধিমালা সংশোধন, বেসরকারি প্রধান শিক্ষকদের সরকারি সহকারী শিক্ষকদের ন্যায় স্কেল প্রদান, কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষার বৈষম্য দূরীকরণ, পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার ও শিক্ষা উপকরণের মূল্য হ্রাস, শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ।

এসব দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২০ জুলাই মানববন্ধন, ২৩ জুলাই উপজেলা সদরে দাবির পক্ষে মিছিল, ৩০ জুলাই জেলা সদরে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশ ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফ্রন্ট নেতা ও কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ খান আশরাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক তপন শীল, অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/১৮ জুলাই ২০১৭/এম. শাহীন গোলদার/বকুল   

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়