বেহাল সড়ক দুর্নীতির দৃষ্টান্ত : বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সারাদেশের মহাসড়কগুলোতে বেহাল সড়কে ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে দাবি করে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘এগুলো সরকারের দুর্নীতিরই উজ্জল দৃষ্টান্ত।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই সরকার হচ্ছে দুর্ভোগ সৃষ্টির সরকার। এই সরকার মানুষকে শান্তি, স্বস্তি, স্থিতি, ধৈর্য্য দিতে পারেনি। ঈদে ঘরমুখো  মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। ঢাকার চারিদিকে সকল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে যাত্রীদের নাকাল অবস্থা। এর মূল কারণ হলো- রাস্তাঘাট খানাখন্দকে ভরা।’

‘বৃষ্টির পানিতে খানাখন্দক ভরে এখন খালে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কগুলি দীর্ঘ যানজটে মানুষের ভোগান্তি সরকারের চরম ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ। মন্ত্রীরা বাগাড়াম্বর কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু দেশের উন্নয়নের কোনো চিহ্ন নেই। মহাসড়কের এই অবস্থা সরকারের দুর্নীতিরই উজ্জল দৃষ্টান্ত।”

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

বিতর্কিত ভ্যাট আইন নিয়ে নাটক চলছে মন্তব্য করেন রিজভী বলেন, ‘সরকার এবং সরকারি দল নাটক ও প্রহসন ভালোভাবেই মঞ্চস্থ করছে। প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ বৃদ্ধির জন্য বাজেট নিয়ে জনগণের সাথে চলছে তামাশা। সরকার চোরকে বলছে চুরি করতে আর পুলিশকে বলছে ধরো-ধরো। প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রীকে বেকুব ও রাবিশে পরিণত করা হয়েছে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসনপ্রসুত বাজেট জনগণের বিরাজমান দুঃখ-দুর্দশাকে আরো তীব্রতর করবে। জনগণের পকেট কেটে লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এমন খাদের কিনারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে সেখান থেকে পুনরুজ্জীবনের এই মূহুর্তে আর কোনো সম্ভাবনা নেই। বাজেট নিয়ে সরকারের যে তামাশা তাতে সরকার কোনো গভীর সত্যকে লুকোতে চেষ্টা করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ লোপাট এবং বেপরোয়া লুটপাটের সংস্কৃতি এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তাতে জাতীয় অর্থনীতির শূন্য ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’

ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় সরকারের মৌনতার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘নিহত দুই বাংলাদেশি কিশোর তারা কী ভারত আক্রমণ করতে গিয়েছিল? তারা কী ভারতের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য বিরাট হুমকি ছিল? বাংলাদেশের মানুষ এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ক্রোধে ফেটে পড়লেও আওয়ামী সরকার নিশ্চুপ।’

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুন ২০১৭/রেজা/সাইফ