ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলার অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর মামলা আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে আদালত আগামী ২২ নভেম্বর গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করে দেন।
এর আগে মাসুদ ভাট্টি মামলাটি দায়ের করেন। জবানবন্দিতে মাসুদা ভাট্টি আদালতকে বলেন, ‘গত ১৬ অক্টোবর রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ এ প্রচারিত মিথিলা ফারজানা সঞ্চালিত টক শো ৭১ জার্নালে টকশো চলাকালে মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন, আপনি বলেছেন একজন নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বলেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন, তাই কিনা?
উত্তরে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, ‘শোনেন দু:সাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’
মাসুদা ভাট্টি আদালতকে বলেন, ‘এরপর আমি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বে অন্য প্রশ্ন করি।’
তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পর থেকে ফেসবুক, টেলিফোনে মঈনুল হোসেনের পক্ষ হয়ে নোংরা ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। পরে তাকে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি চাইলেন না। উল্টো ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারে তার পক্ষ হয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
বাদী মনে করেন মঈনুল হোসেনের এইরূপ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য তার জন্য মানহানিকর ও কুৎসা রটনাকারী হিসেবে গণ্য এবং সকল নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে। এটা শুধু নারীর জন্য নয়, সব নাগরিকের জন্য অবমাননাকর, আপত্তিকর এবং চরম অসহনশীলতার পরিচায়ক, উদ্বেগজনক এবং ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের এবং মানবিকতার জন্য হুমকি স্বরূপও বটে।
মাসুদা ভাট্টির আইনজীবী কাজী নজিরুল্লাহ হিরু আদালতকে বলেন, ‘বিষয়টি বাদীর জন্য অত্যন্ত অসম্মানের এবং তার মত নারী সাংবাদিকের জন্য চরম অবমাননাকর। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশে নারী সাংবাদিক ও নারী সংগঠনগুলো ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এবং ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানায়। এরপর তিনি একটি খোলা চিঠি লিখলেন। তার একটুও অনুশোচনা হলো না। খোলা চিঠি দিয়ে তিনি আরো জানান দিয়ে দিলেন। এতে মায়ের জাতি পেশাজীবীকে অপমান করা হয়েছে।’ বিষয়টি অতীব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য প্রার্থণা জানিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইনজীবী। মামলায় চারজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ অক্টোবর ২০১৮/মামুন খান/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন