ব্রাজিলের কারাগারে দাঙ্গা : নিহত বেড়ে ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নাটাল শহরে সবচেয়ে বড় কারাগারে দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে।

প্রতিদ্বন্দ্বী অপরাধচক্রের (গ্যাং) এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন বন্দির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। দাঙ্গা সৃষ্টির পর কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।

রিও গ্রান্দে দো নর্তে রাজ্যের নাটাল শহরের আলকাকুজ কারাগারে শনিবার এই দাঙ্গা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রোববার সকালে অভিযানে নামে পুলিশ।

কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পুলিশ। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমের এক টুইটে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন তিনি।

চলতি বছরের প্রথম মাসে এটি কারাগারে তৃতীয় দাঙ্গার ঘটনা। বছরের শুরুতে আমাজোনাস ও রোরাইমায় কারাগারে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের মধ্যে দাঙ্গায় নিহত হয় কমপক্ষে ১০০ বন্দি।

শক্তিশালী একটি গ্যাংয়ের সদস্যরা শনিবার বিকেলে কারাগারের বিভিন্ন অংশে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাংয়ের সদস্যদের ওপর হামলা শুরু করলে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাজিলের কারা কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ক জেমিলটন সিলভা জানান, কয়েকজন বন্দির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।

দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর কারাগারের বাইরে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। রিও গ্রান্দে দো নর্তে রাজ্যের কারা ব্যবস্থার কমান্ডার মেজর ওয়েলিংটন ক্যামিলো জানান, অনেক লোক মারা গেছে।

তিনি আরো জানান, কোনো বন্দি পালিয়ে যায়নি। বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন কারাগারের বাইরে জড়ো হয়েছেন। ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইছেন তারা।

ব্রাজিলের কারাগারগুলোতে দাঙ্গা নতুন কিছু নয়। ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি বন্দি কারাগারে রাখায় পরিস্থিতি প্রায়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। বড় বড় কারাগারে অঘোষিত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে রেখেছে ভয়ানক গ্যাংগুলো। আলকাকুজ কারাগারটি অল্পসংখ্যক বন্দির উপযোগী করে তৈরি করা হলেও বর্তমানে ১ হাজার বন্দি রাখা হয়েছে সেখানে।

এ বছরে কারাগারে দাঙ্গার ঘটনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে মারাত্মক রূপ নিয়েছে। বিষয়টি সমাধানে প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমেরের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। আমাজোনাসের কারাগারে দাঙ্গার পর সরকার ঘোষণা করে, আরো পাঁচটি কারাগার নির্মাণ করা হবে এবং অপরাধচক্র দমনে নতুন গোয়েন্দা ইউনিট খোলা হবে।

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ জানুয়ারি ২০১৭/রাসেল পারভেজ/এএন