ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বড় স্বপ্ন পূরণে বাজেট বড় হতে হবে : মুহিত

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ২৬ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বড় স্বপ্ন পূরণে বাজেট বড় হতে হবে : মুহিত

কেএমএ হাসনাত : জনগণের দ্বারপ্রান্তে অধিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আরো বড় বাজেট প্রণয়নের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেছেন যৌক্তিক কারণে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এ জন্য দমে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি বলে আসন্ন বাজেটে তা কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই, বরং এটা আরো বাড়বে।

বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে আসন্ন বাজেট নিয়ে রাইজিংবিডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রী জানান, বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিপূর্ণ কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে আরো কিছু সময় লাগবে। নতুন বাজেটে ‘ক্যাপিটাল বাজেট’ নামে বিশেষ বরাদ্দ থাকবে। দেশীয় শিল্প রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আগামী ২ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। ওই বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। এই নিয়ে জাতিকে টানা আটটি বাজেট দেওয়ার নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন তিনি। তবে এর আগে এরশাদ সরকারের সময় আরো দুটি বাজেট পেশ করেছিলেন তিনি। তবে ১২টি বাজেট দিয়ে সাইফুর রহমান সর্বোচ্চসংখ্যক বাজেট প্রণয়নের রেকর্ড ধরে রেখেছেন। এ রেকর্ডটিও ভাঙার ইচ্ছে আছে তার। তবে সেটা সামগ্রিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে বলে জানান তিনি।

আগামী ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে রাইজিংবিডিকে দেওয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো :

রাইজিংবিডি : কেমন আছেন?
মুহিত : আল্লাহ তাআলার অশেষ কৃপায় এখন ভালো আছি। তবে বাজেট নিয়ে খুবই ব্যস্ত।

রাইজিংবিডি : বর্তমান সরকারের আমলে আপনি টানা আটটি বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন। আপনার অনুভূতি কী?

মুহিত : অবশ্যই খুব চমৎকার। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। আল্লাহ তাআলার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে তিনি আমাকে এ সুযোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি তার সার্বিক সহযোগিতার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন।

রাইজিংবিডি : সাইফুর রহমান ১২টি বাজেট উপস্থাপন করে সর্বোচ্চ রেকর্ড ধরে রেখেছেন। তার এ রেকর্ড ভাঙতে চান কি না?

এ প্রশ্নের জবাবে সহজাত হাসি হেসে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে যদি সুস্থ রাখেন তাহলেই সম্ভব। সুযোগ পেলে টানা ১৪টি বাজেট দিয়ে যেতে চাই। আমি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা করেছি। তার অনেক সুফল দেশ পাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এটা অব্যাহত থাকবে।  

রাইজিংবিডি : প্রতিটি বাজেটের পর বলা হয় এ বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এ ছাড়া রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। এ প্রসঙ্গে আপনি কী মনে করেন?

মুহিত : হ্যাঁ এটা ঠিক। সমালোচকেরা তো বলবেনই বাজেট উচ্চাভিলাষী হয়েছে। আমিও তাদের সঙ্গে একমত। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি বড় হতে হলে স্বপ্ন বড় হতে হবে। আর বড় স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বাজেটের আকারও বড় হতে হবে। বড় সেবার জন্য বড় বাজেটের বিকল্প নেই। ৯০/৯২ হাজার কোটি টাকার বাজেট থেকে আমরা এখন ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়নের চিন্তা করছি। আর তার সুফলও আমরা পাচ্ছি।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের আকার কত হবে, সেটাও এখনই নির্ধারণ করে রেখেছি। বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেটের আকার হবে ৫ লাখ কোটি টাকা। হ্যাঁ, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া নিয়ে আমিও কিছুটা উদ্বিগ্ন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৮ শতাংশ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়নি।

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা আদায় না হওয়ার কতগুলো যৌক্তিক কারণ রয়েছে। এ নিয়ে আমার বন্ধুমহল, বেশ কয়েকজন সহকর্মী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি একাধিকবার বৈঠক করেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি নিশ্চিত হয়েছি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও আসন্ন বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো যাবে না। একই সঙ্গে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর বেশ কিছু সুপারিশ পেয়েছি। চলতি অর্থবছরের রাজস্ব ঘাটতিসহ অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখেই নতুন অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমি মনে করি, ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

রাইজিংবিডি : করের আওতা বাড়াবেন কি না?

মুহিত : এ নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশে কর দেয় মাত্র ১১ লাখ মানুষ। যা মোট জনসংখ্যার দশমিক ১ শতাংশের কম। এটা লজ্জার বিষয়। এটা হতে পারে না। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় এ হার অত্যন্ত কম। তবে করদাতার সংখ্যা যে করেই হোক বাড়াতে হবে।

রাইজিংবিডি : নতুন ভ্যাট আইনটি চালু হওয়ার আগেই নানা ধরনের সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

মুহিত : রাজস্ব আদায়ের বড় একটি অংশ আসে ভ্যাট থেকে। আগামী জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন চালু হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ নিয়ে এ মুহূর্তে কিছু বলা ঠিক হবে না। যাদের নিয়ে কাজ করতে হবে তাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে যারা টাকা দেবে, তাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। ভ্যাট আইন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে তিনটি উপায় রয়েছে। বাজেট ঘোষণার আর কয়েকটি দিন বাকি আছে, আশা করছি তখন এ বিষয়ে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।  

 


রাইজিংবিডি : চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। নতুন অর্থবছরে এটা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

মুহিত : চলতি অর্থবছর পারফরম্যান্স খুবই ভালো হয়েছে। ফলে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগামী বছরও এটাই ধরে রাখার চেষ্টা করা হবে।

রাইজিংবিডি : আপনি অনেক দিন ধরেই একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ে তোলার কথা বলে আসছেন। নতুন বাজেটে এ বিষয়ে কী কোনো দিকনির্দেশনা থাকবে? আর কত দিনে আমরা একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র পাব?

মুহিত : একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ে তোলার কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিশেষ করে প্রতিবছরই আমাদের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর পরিধি বাড়ছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ এ সুযোগ ভোগ করছে। আমি মনে করি যতটা করা হয়েছে তা হয়তো প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। অসহায় ও সমাজের পশ্চাৎপদ মানুষদের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে। আগামী বাজেটেও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর পরিধি ও বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে।

কল্যাণমুখী একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার মতো কঠিন একটি কাজ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বেসরকারি খাতেরও ভূমিকা রাখতে হবে। তারা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে তত মানুষ তাদের জীবনমান পরিবর্তন করতে পারবেন। বেসরকারি খাতও ডিপিএসের মতো নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে পারে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা সম্ভব না হলেও আমরা যেভাবে কাজ করছি কোনো বাধার সৃষ্টি না হলে ২০২০-২১ অর্থবছরের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যাবে। ওই সময়ের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।

রাইজিংবিডি : নতুন বাজেট প্রস্তাবে অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না। আর আকাশপথে পণ্য রপ্তানিতে বিরাজমান সমস্যা দূর করতে নতুন কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না?

মুহিত : অবকাঠামোসহ বড় বড় খাত উন্নয়নের জন্য ‘ক্যাপিটাল বাজেট’ নামে নতুন একটি বিষয় থাকবে। এতে সাময়িকভাবে আটটি বড় প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ থাকবে। পরবর্তী সময়ে আরো ২-৩টি প্রকল্প যোগ হবে। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মনিটরিং ব্যবস্থা থাকবে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না। আর হ্যাঁ, আমাদের রপ্তানির বিরাট একটি অংশ বিশেষ করে তৈরি পোশাক, আকাশপথে রপ্তানি হয়ে থাকে। অথচ বিমানবন্দরে যেভাবে খোলা আকাশের নিচে পণ্য ফেলে রাখা হয়, সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিমানবন্দরে প্রচুর অনিয়ম রয়েছে। আমাদের অর্থনীতির স্বার্থে এসব অনিয়ম দূর করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরের কার্গো ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। এবারের বাজেটে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

রাইজিংবিডি : দেশীয় শিল্প রক্ষায় এ বছর কী কী ব্যবস্থা থাকছে?

মুহিত : দেশীয় শিল্প রক্ষায় প্রতিবছরই নানা ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়। এবারও তা অব্যাহত থাকবে। যে প্রণোদনা দেওয়া হয় তার বড় একটি অংশই তৈরি পোশাক খাতে দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাহাজশিল্পও প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিবছর রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হয়। নতুন বাজেটেও একই প্রস্তাব করা হবে। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হবে।

রাইজিংবিডি : বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে কি না?

মুহিত : এটা তো আগেই বলা সম্ভব না। বাজেটে ঘোষণা হলে বোঝা যাবে। হ্যাঁ, ভূমি ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে। তবে যেভাবে করা হচ্ছে তাতে কিছুটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এ কাজটি ঠিকমতো করা গেলে অনেক বড় একটি কাজ হবে। বিশেষ করে ভূমিকর সংক্রান্ত যে জটিলতা রয়েছে, সেগুলো দূর করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ভূমিকর জেলা প্রশাসনের হাতে দেওয়া যায় কি না, তা ভেবে দেখা যাবে। একটি বিষয় না বললেই নয়। আমি জেলা বাজেটের কথা বলেছিলাম। সেটি ব্যর্থ হয়েছে। নানা ধরনের জটিলতা রয়েছে। তবে উদ্দেশ্য পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে, সেটাও বলা যাবে না। জেলা বাজেটের কাজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা কাজে লাগানো যাবে।

রাইজিংবিডি : ব্যাংকিং খাত নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

মুহিত : আমাদের ব্যাংকিং খাত অনেক সার্ভিস  দিচ্ছে। ব্যাংকগুলোর কাজের পরিধি অনেক বেড়ে গেছে। এদের অনেকের অনেক টাকাপয়সা মেরে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে বাজেটে তেমন কিছু বলব না। আমাদের ব্যাংকিং খাত অনেক বড় হয়েছে। এ কারণে আমাদের সময়েই ব্যাংকিং খাত নিয়ে একটি রিভিউ হওয়া উচিত। নতুন বাজেটে কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলা হচ্ছে না। এ বছর হ্যাকিং-ট্যাকিং হলো, এ কারণে এ মূহূর্তে আর কিছু বলছি না।

রাইজিংবিডি : মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে কী করতে হবে? বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা থাকবে কি না?

মুহিত : এরই মধ্যে আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি। মধ্যম আয়ের দেশের স্ট্যাটাস ডিফাইন করে জাতিসংঘ। এটা ২০১৮ সালে সিদ্ধান্ত হবে। এর তিন বছর পর অর্থাৎ ২০২১ সালে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে জাতিসংঘ।

রাইজিংবিডি : দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে নানা ধরনের কথা হচ্ছে। এবারের বাজেটে এ বিষয়ে কিছু থাকবে কি না?

মুহিত : বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন জামায়াত-বিএনপির অপরাজনীতির কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছিল। আশার বিষয় হচ্ছে, এখন পরিবেশ ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাচ্ছেন। দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সেসব সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দেওয়া আছে, সেগুলোই অব্যাহত থাকবে। আর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কিছু বিষয় যোগ হতে পারে। এ বিষয়ে আজ (বুধবার) বিশ্বব্যাংকের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রতিনিধিদল দেখা করতে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও বিনিয়োগের পরিবেশ ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছে।

অর্থমন্ত্রী রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলার সময় বাজেটে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ ছাড়া দেশের জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়েও তার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি কীভাবে ও কোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন, তা জানান। সেসব বিষয়ের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তার ভাবনাগুলো তুলে ধরেন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৬/হাসনাত/এসএন/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়