ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভাব বিনিময় করছে মৌমাছি ও মাছ!

আহমেদ শরীফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ২৩ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভাব বিনিময় করছে মৌমাছি ও মাছ!

আহমেদ শরীফ : বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো এমন এক রোবট ট্রান্সলেটর তৈরি করেছেন যা মৌমাছি ও মাছদের নিজেদের মাঝে যোগাযোগের সুযোগ করে দিচ্ছে। এ ধরনের প্রযুক্তিগত উদ্যোগ এটাই প্রথম। নতুন এই সিস্টেম ওই প্রাণীদের বায়ো সিগন্যাল বুঝতে পারে ও সে অনুযায়ী তাদের ভাষা রূপান্তর করে।

নিউ জার্সির ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা নতুন এই গবেষণা পরিচালনা করেন। অনেকটা রূপকথার গল্পের মতোই ব্যাপারটা। মৌমাছি ও মাছ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে  পারবে এখন। বিজ্ঞানীরা বলছেন একটি ওয়াকিটকি সিস্টেমের মাধ্যমে মৌমাছি ও মাছেরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলবে। এই সিস্টেমে বিশেষভাবে তৈরি মিনি রোবট ও টার্মিনাল ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো সফলতা অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা।

মৌমাছির কলোনীতে একঠি ছোট্ট টার্মিনাল বসানো হয়। আর এক ঝাঁক মাছের মধ্যে একটি সাঁতার কাটা রোবট মাছ ব্যবহার করা হয়। এরপর ওই দুই ক্ষেত্র থেকে পাওয়া সিগন্যাল একটি ভাষায় রূপান্তর করা হয়, যাতে মৌমাছি ও মাছেরা বুঝতে পারে। মৌমাছির কলোনীতে রাখা টার্মিনালটি মৌমাছির গতিবিধি, বাতাসের কম বেশি হওয়া তাপমাত্রা, ভাইব্রেশন এসবের উপর ভিত্তি করে মৌমাছিকে একে অপরের সঙ্গে ভাব আদান-প্রদানের পথ করে দেয়। আর মাছের ঝাঁকে থাকা রোবট মাছ নিজের রঙ, গতি ও মুভমেন্ট পাল্টে ভাব আদান-প্রদান করে।

এই রোবটগুলো নিয়ে গবেষণা করা এক প্রফেসর ফ্রান্সেসকো মনডানা বলেন, ‘রোবটগুলো আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশ নেয়া সমঝোতাকারী ও ভাষা অনুবাদকারীর ভূমিকায় কাজ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিজেদের মাঝে বেশ কিছু তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে মৌমাছি ও মাছগুলো এক পর্যায়ে নিজেদের মাঝে ভাব আদান-প্রদান করেছে।’

প্রথমবারের মতো মানুষ এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৌমাছি ও মাছের মধ্যে ভাব আদান প্রদানের সুযোগ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউ জার্সির ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়োলজিস্ট সাইমন গার্নিয়ার। দূরে থাকা দু’দল প্রাণীর মাঝে যোগাযোগ ঘটাতে পারে রোবট, এই পরীক্ষা সেটাই প্রমাণ করেছে।

গবেষকরা বলছেন, তাদের এই গবেষণা ভবিষ্যতে প্রাণীদের নিয়ে গবেষণায় ভালো ভূমিকা রাখতে চলেছে। এই গবেষণা দু’ধরনের উপকার নিয়ে আসতে যাচ্ছে বলছেন গবেষকরা। প্রথমত, বিশেষ কোনো প্রাণীর বায়োলজিকাল সিগন্যাল জানা যাবে এর মাধ্যমে। আর দ্বিতীয়ত, পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাণীরা কিভাবে একে অপরের সঙ্গে মানিয়ে চলে তা জানতে সাহায্য করবে। এছাড়া এই গবেষণা অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীদের নির্দিষ্ট কিছু বুদ্ধিমান রোবটও তৈরি করতে উৎসাহ দেবে, যেগুলো প্রাণীর টিকে থাকার ব্যাপারে গবেষণায় ব্যবহৃত হবে। বিশেষ করে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীকে দূষিত এলাকা ও ক্ষতিকর পরিবেশ থেকে রক্ষায় সাহায্য করবে।



তথ্যসূত্র: ডেইলি মেইল





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মার্চ ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ