ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভালোবাসার যথাযোগ্য প্রতিদান তিনি পাননি

মিনার মনসুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভালোবাসার যথাযোগ্য প্রতিদান তিনি পাননি

|| মিনার মনসুর ||

 

তাঁর মনে কী ছিল জানি না। আমার অফিস তখন ১ রামকৃষ্ণ মিশন রোডে। ইত্তেফাকের সম্পাদকীয় দপ্তরে কাজ করছি, এমন সময়ে বিনা নোটিশে ছাত্রলীগের সাবেক সংগঠক রুবেল এসে হাজির। কোনো ভূমিকা ছাড়াই বললো, ‘লিডার আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছেন। এখনই যেতে হবে।’

রুবেল রাজ্জাক ভাইকে ‘লিডার' বলতো। আমি একটু অবাক হই। বলি, ‘খারাপ কিছু নয় তো?’

বেল বললো, ‘জানি না। তবে ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজনকে ডেকেছেন।’

আমি দ্রুত কাজ গুছিয়ে নিয়ে চেপে বসি রুবেলের গাড়িতে।

 

গুলশানে ইউনাইটেড হসপিটালের পাশের এ বাসাটিতে আমার ইতিপূর্বে আসা হয়নি। রাজ্জাক ভাইকে নিয়ে আমার অধিকাংশ স্মৃতি জিগাতলার শাদামাটা সেই বাড়ি, ৯০ নবাবপুরের আওয়ামী লীগ কার্যালয় আর ইনার সার্কুলার রোডের সাপ্তাহিক দেশবন্ধু কার্যালয় ঘিরে। মাঝখানে ধানমন্ডির একটি বাসায়ও একবার গিয়েছিলাম চুন্নু ভাইয়ের সঙ্গে। তারপর নানা কারণে যোগাযোগটা কমে এসেছিল। তবে চমকপ্রদ একটি ঘটনাও ঘটেছিল আকস্মিকভাবে। সেটা ড. ফখরুদ্দিন-জে. মঈনুদ্দিন সাহেবের সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শুরুর দিকে। শেখ হাসিনা তখন গৃহবন্দী। বাইরে আওয়ামী লীগে বড় ধরনের সংস্কারের জোর গুজব। সংস্কারপন্থীদের মধ্যে ভারী ভারী যে-সব নাম শোনা যাচ্ছিল সেখানে রাজ্জাক ভাইয়ের নামও ছিল।

 

তখনও একবার ডাক পড়েছিল। আমি তখন ‘সংবাদ’ -এর সম্পাদকীয় দপ্তরে কাজ করি। সেবারও সম্ভবত রুবেলই আমাকে নিয়ে গিয়েছিল রাজ্জাক ভাইয়ের নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেলের দপ্তরে। আমার ভেতরে কিছুটা উত্তেজনা ছিল। সংবাদপত্রের কর্মী হিসেবে বুঝতে পারছিলাম যে অনেকগুলো অদৃশ্য চোখ আমাকে অনুসরণ করছে। যাই হোক, ভেতরে গিয়ে আরও কিছু প্রিয় ও নির্ভরযোগ্য মুখ দেখে আশ্বস্ত বোধ করেছিলাম। তার মধ্যে বাহালুল মজনুন চুন্নু ভাই ছাড়াও মোজাম্মেল বাবু, শাহীন ও এনায়েত যে ছিল সেটা স্পষ্ট মনে আছে। জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু ছিল কিনা মনে করতে পারছি না। টিংকু নিজেও ভিকটিম হয়েছিল সেই বিপর্যয়ের।

 

কোনো ভূমিকা ছাড়াই সেদিন রাজ্জাক ভাই বলেছিলেন, ‘বড় একটা সংকটে পড়ে গেছি। কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। তখনই তোদের কথা মনে হলো। তোদের ওপর আমার অন্য রকম একটা আস্থা আছে। মনে হলো, তোরাই আমাকে সঠিক পরামর্শটা দিতে পারবি।’

 

ভেতরে ভেতরে আমাদের উত্তেজনা বেড়ে গেলেও আমরা চুপ ছিলাম। রাজ্জাক ভাই নিজেই নীরবতা ভাঙলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গিতে বললেন, ‘ওরা আমার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে। হাতে একদম সময় নাই। হয় ওদের কথা শুনতে হবে। নয়তো আমাকে শেষ করে দেবে।’

আবারও নীরবতা। মোজাম্মেল বাবু বললো, ‘আপনার মতো মানুষকে শেষ করা কি এতই সহজ?’

রাজ্জাক ভাই বললেন, ‘সব বলা যাবে না। ওদের কাছে অনেক ডকুমেন্ট আছে। আমাকে দেখিয়েছে।’

বাবু বললো, ‘সব ভুয়া। আপনাকে ভয় দেখাচ্ছে। আপনার বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো কিছু ওরা খুঁজে পায়নি। আমি নিশ্চিত।’

তবু রাজ্জাক ভাইকে খুব একটা আশ্বস্ত মনে হলো না। তাঁর মুখে দুশ্চিন্তার মেঘ যেন আরও গাঢ় হচ্ছিল। কেউ একজন বললো, ‘ওরা কী চায়?’

রাজ্জাক ভাই বললেন, ‘নেত্রীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে প্রকাশ্যে। সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে থাকতে হবে।’

 

ইতোমধ্যে একটি খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে গিয়েছিল যে পরদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগে সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপিত হবে এবং রাজ্জাক ভাই তাতে মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও নবীন বহু নেতাও ইতোমধ্যে শামিল হয়েছেন এ উদ্যোগের সঙ্গে। সেটা মাথায় রেখেই রাজ্জাক ভাইকে উদ্দেশ্য করে আমি বললাম, ‘আপনি কোনো অবস্থাতেই মাথা নত করবেন না। তাতে যা হয় হবে। আপনি আমাদের নেতা। সারাজীবন জনগণের রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর বিরল ভালোবাসা পেয়েছেন। নেতৃত্ব দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। তাতে সামান্য কালির আঁচড় লাগুক-এটা আমরা চাই না।’

আমার মনে আছে, মোজাম্মেল বাবু সরবে এবং অন্যরা নীরবে আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

রাজ্জাক ভাইয়ের চেহারা দেখে মনে হলো, অবশেষে তিনি আঁকড়ে ধরার মতো একটা কিছু অবলম্বন খুঁজে পেয়েছেন। বললেন, ‘আমি যদি ওদের কথা না শুনি, তাহলে আমার তো দাঁড়াবার মতো একটা জায়গা লাগবে। সেটা কি আমার আছে?’

আমি বলেছিলাম, ‘এ দেশে আবদুর রাজ্জাকের দাঁড়াবার জায়গার অভাব কোনোদিন হবে না। এখন যে আওয়ামী লীগ আছে-সেটা আপনার হাতে গড়া সংগঠন। এমন কোনো উপজেলা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে আপনাকে ভালোবাসে এরকম দু’একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী নেই। আওয়ামী লীগ আপনার সংগঠন, আপনি সেটাকেই সর্বশক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরেন। আপনাকে অগ্রাহ্য করে সাধ্য কার!’

 

এখানে বলা প্রয়োজন যে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা জিল্লুর রহমান তখন সব ভয়ভীতি অগ্রাহ্য করে গুটিকয় নেতাকর্মী নিয়ে নিয়মিতই দলীয় সভানেত্রীর পক্ষে অত্যন্ত সাহসী ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছিলেন এবং সেটা সীমিত আকারে হলেও গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছিল। আমি বললাম, ‘কাল থেকে আমরা আপনাকে জিল্লুর ভাইয়ের পাশে দেখতে চাই।’

 

অন্যদেরও জোরালো সমর্থন ছিল আমার এ বক্তব্যে। রাজ্জাক ভাই ঠিক তাই করেছিলেন। ফলে ব্যর্থ হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগবিরোধী সুদূরপ্রসারী এক ষড়যন্ত্র। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এর চেয়েও কঠিন আরও অনেক দুর্যোগ পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁকে। বারংবার ঝুঁকি নিতে হয়েছে জীবনের। সংগঠন করতে গিয়ে সেই ছাত্রাবস্থা থেকে চষে বেড়িয়েছেন সারা দেশ। বঙ্গবন্ধু-হত্যাপরবর্তী চরম দুঃসময়ে আবারও সংগঠনের হাল ধরতে হয়েছিল তাঁকে। গড়ে তুলতে হয়েছিল বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগকে। কখনোই নিজের সুখ-সুবিধার দিকে তাকাননি। ভাবেননি পরিবার-পরিজনের কথা। কিন্তু রাজ্জাক ভাইয়ের এমনই দুর্ভাগ্য যে দলের প্রতি তাঁর এ ভালোবাসার যথাযোগ্য প্রতিদান তিনি পাননি। কেন পাননি সেই বিচার-বিশ্লেষণ আজ নয়। আজ তাঁর মৃত্যুর শোকাবহ এই দিনে শুধুই স্মরণের আবরণে ঢেকে রাখতে চাই প্রিয় এ মানুষটিকে।

 

এমপি হোস্টেলের সেই সাক্ষাতের পর আবার দীর্ঘ যোগাযোগহীনতা। যোগাযোগের ইচ্ছা যে হতো না তা নয়। দূর থেকে তাঁকে দেখে কষ্ট পেতাম। এত বড় একজন নেতা, অথচ তিনি কোথাও নেই। এটা মন মেনে নিতে চাইতো না কোনোভাবেই। বড় একটা বিপর্যয়ের ধকল কাটিয়ে দল দাপটের সঙ্গে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। কিন্তু সরকারে তাঁর জায়গা হয়নি। জায়গা হয়নি দলেও। কারণ যাই হোক না কেন উপেক্ষাটা রাজ্জাক ভাইয়ের মতো নেতার জন্যে খুব নির্মম হয়ে পড়েছিল। মাঝে-মধ্যে এখানে-সেখানে দেখা হয়েছে। আগের মতোই নির্মল হাসিতে ঝলমল করে উঠেছে তাঁর মুখ। ছুটে এসে পিঠে হাতও রেখেছেন। কুশল জিজ্ঞাসা করেছেন। কিন্তু কোথায় যেন সূক্ষ্ম একটা তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। আমি জানি না, অন্যরা তা বুঝতে পারতেন কিনা, কিন্তু আমরা যারা খুব কাছে থেকে দেখেছি রাজ্জাক ভাইকে, তারা সহজেই তা ধরতে পারতাম। বিষণ্ন হয়ে যেত মনটা। কিন্তু রুবেলের সঙ্গে গুলশানের বাসায় গিয়ে অন্য এক রাজ্জাক ভাইকে দেখি। লুঙ্গিপরা গায়ে হাফহাতা চেক শার্ট। দরোজায় এসে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে বসালেন। ব্যস্ত হয়ে উঠলেন আপ্যায়নে। নিজের হাতে নাশতার একটি প্লেট এনে ধরিয়ে দিলেন আমার হাতে। ছুটোছুটি করছেন। খাবার তুলে দিচ্ছেন এর-ওর প্লেটে। এ রাজ্জাক ভাই আমার একেবারেই অচেনা। বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে নিয়ে আমি অন্যদের দিকে তাকাই। ইতোমধ্যে সেখানে জড়ো হয়েছেন চুন্নু ভাই, নূরুল ফজল বুলবুল, টিংকু, বাবু ছাড়াও আরও অন্তত দুজন-যারা পরে উচ্চ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। নিজেদের মধ্যে টুকটাক আলাপের মধ্যেও আমাদের সব মনোযোগ তাঁর দিকে। নিশ্চয় খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলবেন রাজ্জাক ভাই।

 

রাত বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ভাবির তাগাদা। রাজ্জাক ভাই আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েন আমাদের রাতের খাবার নিয়ে। বিশাল আয়োজনই বলা চলে। টেবিলভর্তি খাবার। একপর্যায়ে আমার আর টিংকুর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তোরা তো চাটগাঁইয়া, চিন্তা করিস না তোদের জন্যে শুটকির ব্যবস্থাও  করেছি।’ এভাবে একে একে সবাইকে বললেন তাদের পছন্দের খাবারের কথা। কার কী পছন্দ সবই তার নখদর্পণে। শুধু কি তাই? নিজেই খাবার তুলে দিচ্ছিলেন। পীড়াপীড়ি করছিলেন আরেকটু খাওয়ার জন্যে। আমার বিস্ময়ের পারদ কেবলই চড়ছিল। রাজ্জাক ভাইকে খুব কাছে থেকে দেখেছি দীর্ঘদিন। কিন্তু এ রাজ্জাক ভাইকে ইতঃপূর্বে দেখেছি বলে তো মনে পড়ে না।

 

খাওয়া শেষ। আমরা উঠি উঠি করছি এমন সময় রাজ্জাক ভাই বললেন, ‘আরেকটু বস্, কিছু কথা আছে।’

আমরা উৎকর্ণ হই। বড় একটা দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমি তো মরেই গিয়েছিলাম। বিশ্বের অন্যতম সেরা ডাক্তারও আশা ছেড়ে দিয়েছিল। নিঃসঙ্গ প্রবাসে বিছানায় শুয়ে শুয়ে তোদের কথা খুব মনে হতো। তোদের সঙ্গে আর দেখা হবে ভাবিনি। দেখা হয়ে গেল।’

রাজ্জাক ভাই একটু থামলেন। তাঁর চোখের কোণে কিছু একটা চিকচিক করে উঠতে দেখলাম। তিনি টিস্যু পেপার দিয়ে তা আড়াল করার চেষ্টা করলেন। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে আমি বলেছিলাম, ‘রাজ্জাক ভাই, আপনার এখন নিজের অভিজ্ঞতাগুলো লিখে ফেলা দরকার। খুব দরকার। কারণ আপনি এমন কিছু জানেন, যা অন্য কেউ জানেন না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী ইতিহাসের জন্যে এটা খুবই জরুরি।’

 

খুব মনোযোগ দিয়ে তিনি কথাগুলো শুনেছিলেন। বললেন, ‘আমিও তাই ভাবছিলাম। তুই একটু সময় দে। তা হলেই লেখার কাজটা হয়ে যাবে।’

আমি হাসতে হাসতে বললাম, ‘রাজ্জাক ভাই আমি কী আর সেদিনের সেই বাউণ্ডুলে তরুণ আছি? এখন আর সেরকম কাউকে পাবেন বলে মনে হয় না। বরং পেশাদার কাউকে দিয়ে কাজটি করালে ভালো হয়। রাজ্জাক ভাই বলেছিলেন, ‘টাকা কোথায় পাবো?’

টিংকু এবং বাবু একযোগেই উত্তর দিয়েছিল, ‘টাকা আমরা দেবো।’

এরপর রাজ্জাক ভাইয়ের সঙ্গে আমার আর দেখা হয়নি।

 

একটি দৃশ্য আমি কোনোভাবেই ভুলতে পারি না। সেদিন কথা বলতে বলতে সোফার ওপর ঘুমিয়ে পড়েছিল টিংকু। আমার ওর গাড়িতেই ফেবার কথা। তাই ওকে জাগাতে গিয়ে কী এক অজানা শংকায় আমার বুকটা কেঁপে উঠেছিল। খুব খুব ক্লান্ত মনে হয়েছিল টিংকুকে। সেই সাক্ষাতের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চলে গেলেন রাজ্জাক ভাই; আর কয়েক মাসের মধ্যে টিংকু। শুধু এটুকু বলাই যথেষ্ট নয় যে, আমার এ অকিঞ্চিৎকর জীবনের অতি প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ এই দুই মানুষের শূন্যতা কখনোই পূর্ণ হবার নয়। রাজ্জাক ভাই ছিলেন সত্যিকারের এক বাঁশিওয়ালা। আমাদের প্রজন্মের ওপর তাঁর এতটাই প্রভাব ছিল যে আজ তা ভাবলেও হৃদয় আর্তনাদ করে ওঠে অব্যক্ত এক বেদনায় :

 

             সুর বলি স্বপ্ন বলি- মায়া-মরীচিকা যাই বলি-

আমাদের ঘরছাড়া করেছিল তোমার সে জাদুকরী বাঁশি।

পাতা ঝরে, তারারাও ডুবে যায় অন্ধকারে, বাঁশি তো ডোবে না-

          অনন্তের অবিনাশী বাতাস বাঁচিয়ে রাখে তাকে।

 

লেখক : কবি ও সাংবাদিক

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ ডিসেম্বর ২০১৬/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়