ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভোলা আলোকিত, ডিসেম্বরেই শতভাগ বিদ্যুৎ

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৪ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোলা আলোকিত, ডিসেম্বরেই শতভাগ বিদ্যুৎ

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলা জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে ৮০ভাগ বিদ্যুতের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের মাধ্যমে ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানকে বাস্তবায়ন করতে ভোলা জেলার ছয়টি উপজেলায় বিদ্যুতায়নের ফলে শহর আর গ্রামের পার্থক্য দূর হয়েছে। গ্রাম-গঞ্জের বাড়িঘর রাস্তাঘাট আলোকিত হওয়ায় বদলে গেছে ভোলার পল্লী অঞ্চলের চিত্র।

গত ডিসেম্বর মাসে দৌলতখান উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। মনপুরা উপজেলা আরেকটি দ্বীপ। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সেখানে পৃথক জেনারেটরের মাধ্যমে এবং সোলার বিদ্যুৎ দিয়ে আলোকিত করা হচ্ছে।

বর্তমানে বোরহানউদ্দিনে গ্যাসভিত্তিক ২শ’ ২৫ মেগাওয়াট এবং ভোলা সদরে গ্যাসভিত্তিক ৩৪ মেগাওয়াট মোট ২শ’ ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

তা থেকে দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও ভোলা সদর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তাতে ব্যয় হচ্ছে ৬৪ মেগাওয়াট। অবশিষ্ট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

ইতিমধেই ১লাখ ৮৫ হাজর ৯শ’ ১০টি (পরিবার) আবাসিক সংযোগ, ১৭ হাজার ২শ’ ১৮টি বানিজ্যিক সংযোগ, শিল্প কারখানায় ৫শ’ ৪৬টি সংযোগ, সেচ পাম্পে ২শ’ ৩৯টি সংযোগ ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ৩হাজার ২শ’ ৩৬টি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নে বিদ্যুৎ পাবে ৩লাখ ৩শ ৭৭ পরিবার।

এর মধ্যেই গ্রামাঞ্চল, চরাঞ্চল, শহর ও উপজেলা সদরগুলো বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। তা ছাড়া চরাঞ্চলে আশ্রয়ন প্রকল্পে, বেদে পল্লিতে ও জেলেদের নৌকায় সোলার বিদ্যুৎ প্রদান করা হয়েছে। নদী আর খালে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী সবাই এখন বিদ্যুৎ এর সুবিধা ভোগ করছে। স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীরা এখন আর কুপি / বাতির আলোতে লেখা পড়া করছে না। তারা এখন পাখার নিচে বিদ্যুতের আলোতে লেখা পড়া করছে।

এব্যাপারে ভোলার পল্লী বিদ্যুৎ এর জেনারেল ম্যানেজার মো: কেফায়েত উল্লাহ জানান, বর্তমানে বোরহনউদ্দিন উপজেলায় গ্যাসভিত্তিক ২শ’ ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে সাফরদী পালংদী নামে একটি ভারতীয় কোম্পানি।

এছাড়া ১শ’ মেগাওয়াট আরো একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে এগ্রো বৃটিশ কোম্পানি। এসব বিদ্যুৎ এর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ইতিমধ্যেই ভোলায় শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে। ইতি মধ্যেই শেলটেক সিরামিক কারখানা, কাজী গ্রুপের পোল্ট্রি ফিড কারখানা, নবারুন অটো রাইসমিল, কোল্ডস্টোরেজসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে। জেলায় বিদ্যুতায়নের  ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সূচিত হয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের রুটি রুজির সংস্থান হয়েছে।

 

 

 


রাইজিংবিডি/ভোলা/৪ আগস্ট ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়