ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভোলার আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সুবিধাভোগিরা দুশ্চিন্তায়

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৪ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোলার আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সুবিধাভোগিরা দুশ্চিন্তায়

ভোলা সংবাদদাতা: ভোলায় সরকারিভাবে গড়ে ওঠা হাঁসের প্রজনন খামার প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এই খামার থেকে সুবিধাভোগি স্থানীয় খামারিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

ভোলা সদর উপজেলার বীরশেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড’র কাছে প্রায় দুই একর জমির উপর ২০১৭ সালের শুরুর দিকে আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটি স্থাপন করা হয়। হ্যাচারি, লেয়ার শেড, ডরমেটরি, অফিস ভবন, গুদাম ঘর, পাম্প হাউজসহ হাঁসের বাচ্চা ও ডিম উৎপাদনের সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই খামারে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সরকারিভাবে গড়ে ওঠা হাঁসের প্রজনন খামার এটাই সর্বপ্রথম। ১০ হাজার হাঁস পালনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খামারটির কার্যক্রম গত বছরের ২৯ এপ্রিল  ১ হাজার জিমডিং জাতের হাঁসের বাচ্চা দিয়ে শুরু হয় । এ বছরের এপ্রিলে ডিম বিক্রির পাশাপাশি কম মূল্যে হাঁসের ১ দিনের বাচ্চা বিক্রি শুরু হয়।

এতে করে ভোলার খামারিরা জেলার বাইরে না গিয়ে এখান থেকেই ডিম ও হাঁস ক্রয় করতে পারছিলেন। আগে জেলার বাইরে খুলনা থেকে হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করতে প্রতি পিসে ৩০ টাকাসহ যাতায়াত খরচও লাগতো। অথচ এখানে খামারিরা অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ ছাড়াই মাত্র ২০ টাকায় হাঁসের বাচ্চা পাচ্ছিলেন। প্রকল্পটির মেয়াদ এই অর্থবছরের শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রজনন খামারে হাঁসের বাচ্চা ও ডিম উৎপাদন শুরু হওয়ার পর থেকে খামারিরা সহজে ও কম মূল্যে নিজ জেলায় হাঁসের বাচ্চা ও ডিম ক্রয় করতে পেরে অনেক লাভবান হচ্ছিলেন। এটি বন্ধ হলে খামারিদের উৎপাদন ব্যয়সহ নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে বলে তারা জানিয়েছেন।

প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর হাঁস প্রজনন খামারের কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, ভোলার খামারিদের চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলাতেও হাঁসের বাচ্চা বিক্রি করা হবে। সবেমাত্র উৎপাদনে এসেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় সব আশাই এখন বাধাগ্রস্ত।

প্রজনন খামারের পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসার ডা: মোসাম্মৎ মৌসুমী খাতুন জানান, এই খামারটি চালু থাকলে ভোলার খামারিদের চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলাতেও হাঁসের বাচ্চা সরবরাহ সম্ভব হবে। পাশাপাশি বহু  বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা: মোহাম্মদ আলমগীর জানান, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও যাতে তা বাড়িয়ে খামারটি নিবিঘ্নে চলতে পারে তার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করেছেন।

 

 

 

রাইজিংবিডি/ভোলা/৪ আগস্ট ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়