ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মরণোত্তর বিপিএম পদক পেলেন ৪ পুলিশ

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মরণোত্তর বিপিএম পদক পেলেন ৪ পুলিশ

বাঁ থেকে-মো. সালাহউদ্দিন খান, মো. রবিউল করি, আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : জঙ্গি হামলায় নিহত চার পুলিশ সদস্যকে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনে তাদের এ পদকে ভূষিত করা হয়।

পুলিশ পদক বইয়ে লেখা হয়েছে, ‘জঙ্গি দমনে যে চার পুলিশ সদস্য জীবন দিয়েছেন তা ভোলার নয়। তারা মরেও বেঁচে থাকবেন।’

পদক বইয়ে জানানো হয়, ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গিরা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি লোকদের জিম্মি করে। খবর পেয়ে ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল করিম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। সঙ্গে সঙ্গে রবিউল করিমকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ২০১২ সালে পুলিশে যোগ দেন মো. রবিউল করিম।

একই হামলায় গুরুতর জখম হন বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান। ১৯৯১ সালে তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

হলি আর্টিজান হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই ৭ জুলাই ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে নাশকতা করতে আসে কয়েকজন জঙ্গি। তারা মাঠের কাছে একটি চেকপোস্ট অতিক্রমের চেষ্টা করলে পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলামসহ অন্যরা এতে বাধা দেয়। জঙ্গিরা দুটি গ্রেনেড ছুড়লে গুরুতর আহত হন জহিরুল ইসলাম। জঙ্গিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান। ২০১১ সালে পুলিশে যোগ দেন জহিরুল ইসলাম। একই ঘটনায় কনস্টেবল আনসারুল হকেরও মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তিনি ২০০৬ সালে পুলিশে যোগ দেন।

পদক বইতে পুলিশের চার সাহসী সদস্য সম্পর্কে বলা হয়, তারা পেশাদারিত্ব ও সাহসিকতা দেখিয়েছেন, দেশ ও জাতির জন্য জীবন দিয়েছেন। যা কোনোদিন ভোলার নয়। এ কারণে তাদের মরণোত্তর বিপিএম পদকে ভূষিত করা হলো।

পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনে উল্লিখিত চার পুলিশ সদস্যের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জানুয়ারি ২০১৭/মাকসুদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়